• শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:৫১ অপরাহ্ন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রচ- গরমে বিক্রি হচ্ছে তালপানি বরেন্দ্র অঞ্চলের অনেকে তালপানি বিক্রি করে চালাচ্ছে সংসার

আপডেটঃ : শুক্রবার, ১ জুন, ২০১৮

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি॥
চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রচ- গরমে বিক্রি হচ্ছে তালপানি। পানীয় সব ফলের পাশাপাশি এ ফলটিও কদর এখন অনেক বেশি। বরেন্দ্র অঞ্চলের অনেকে তালপানি বিক্রি করে চালাচ্ছে সংসার। অনেকে ঋণ নিয়ে সিজিনাল এ ব্যবসা করে দু পয়সা রোজগার করছেন।চাঁপাইনবাবগঞ্জে পবিত্র মাহে রমযানে প্রচ- তাপ আর গরমে খানিকটা হলেও ক্লান্তিবোধ করছেন রোযাদার মানুষ। আখের রসসহ হাট-বাজারগুলোয় বেড়েছে পানীয় ফলের বিক্রি। ডাব, তরমুজের পাশাপাশি বেশ কিছু মানুষ তালপানি বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। ক্রেতারাও মিটাচ্ছেন তৃষ্ণা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের কলেজ মোড়, বিশ্বরোড, অকট্টয় মোড়, উদয়ন মোড়সহ বেশকিছু স্থানে রমযানের শুরু থেকেই তালপানি বিক্রি হচ্ছে। দিনযত যাচ্ছে বাড়ছে ক্রেতাদের ভিড়, বেচাবিক্রিও ততই বাড়ছে এবং আরো বাড়বে। আর চাহিদার কারণে দামও বাড়বে বলে জানান তালপানি বিক্রেতারা।ঝিলিম ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের বাবু ডাইং এর বড়পুকুরিয়া সহ বরেন্দ্র এলাকা থেকে তালপানি কিনে এনে শহরে তারা বিক্রি করছেন। এছাড়াও নাচোলের বরেন্দ্র এলাকা ও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে কিনে এনে শহরে বিক্রি করছেন তালপানি ব্যবসায়ীরা। রনি আলি, ইব্রাহিম, ফারুক, হোসেন, মুকুল, আলিম জানান, চলতি মৌসুমে প্রথমে ৬ টাকা হালি বিক্রি হলেও বর্তমানে ১৫ টাকা হালি দরে বিক্রি হচ্ছে তালপানি। প্রতিদিন কেমন বিক্রি হচ্ছে জানতে চাইলে বড়পুকুরিয়ার ইব্রাহিম দৈনিক গৌড় বাংলাকে জানান, আমরা প্রতিদিন যাদের তালের গাছ আছে তাদের কাছথেকে তালপানি কিনে এনে বাজারে মানে শহরে বিক্রি করছি। সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত প্রায় ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকার তালপানি বিক্রি করি। সব কিছুর খরচ বাদ দিয়ে যে টুকু লাভ হয় তাতেই আমরা খুশি। তিনি আরো জানান, যতদিন পর্যন্ত বরেন্দ্র এলাকাতে তালপানি পাব আমরা এনে শহরে বিক্রি করব। আরেক বিক্রেতা নাচোলের আমজাদ জানান, অন্যদের মতই আমরা ১৫ টাকা হালি দরেই তাল পানি কিনে এনে বিক্রি করছি। বেচা বিক্রি ১০০০-১২০০ টাকা করছি। যেদিন যেমন মাল মানে তালপানি পায় সেদিন তেমন রোজগার হয়। যতদিন গাছে তালপানি পাব ততদিন বিক্রি করব।তালপানি কিনতে আসা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অফিস সহকারি মাইনুল জানান site, তালপানি বাজারে আসার পর প্রায় প্রতিদিন ১৫ টাকা হালি দরে তালপানি কিনছি। ইফতারে বাসার সকলেই আমরা পানিয় এ ফলটি খেয়ে থাকি। অন্যদিকে প্রয়াসের ম্যানেজার ইসরাত জাহান, ব্যাংক ম্যানেজার রিপন, এনজিও কর্মী মঈন আলিও জানান, যেহেতু এ ফলটি আমরা সবসময় কিনতে পারি না তাই এখন বাজারে তালপানি পাওয়া যাচ্ছে তাই কিনে নিয়ে বাড়িতে যাচ্ছি। বাসার ছোট বাচ্চারা খুব পছন্দ করে এ তালপানি। চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ উত্তরাঞ্চলে এখন পাওয়া যাচ্ছে পানীয় এ ফল তালপানি। যতদিন গাছে তালপানি পাওয়া যাবে ততদিন বাজারেও এ ফলটি পাওয়া যাবে বলে জানান বিভিন্ন এলাকার তালপানি বিক্রেতা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ