আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী ২৬ অক্টোবর আওয়ামী লীগের যৌথসভার পর নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘আগামী ২৬ অক্টোবর সব সিদ্ধান্ত হবে। সেদিন আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটি, উপদেষ্টা কমিটি ও পার্লামেন্টারি কমিটির সভা হবে। মন্ত্রিসভার আকার ছোট হলে নতুন করে দু’একজন যুক্ত হবেন, আর আকার বর্তমানের মতো থাকলেও দু’একজন যুক্ত হতে পারেন।’
ওবায়দুল কাদের মঙ্গলবার সকালে সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে সম সাময়িক রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ সব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনকালীন সরকারের আকার গত নির্বাচনকালীন সরকারের মতোই হবে। দুই-একজন নতুন মুখ আসতে পারে। তবে কতজন হবে সে সিদ্ধান্ত হবে ২৬ অক্টোবরের যৌথসভায়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণায় কাউকেই বাধা দেওয়া হবে না। সবাই সমান সুযোগ পাবেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন সরকারের মন্ত্রীরা তাদের নিজস্ব নির্বাচনী এলাকায় গাড়িতে পতাকা ব্যবহার করতে পারবেন না, তবে নির্বাচনী এলাকার বাইরে তারা তা পারবেন। নির্বাচনকালীন সময়ে মন্ত্রীদের নিরাপত্তা আগের মতোই বহাল থাকবে।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহার চূড়ান্ত করা হয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ২৬ অক্টোবরের পর তা প্রকাশ করা হবে।
ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঐক্যফ্রন্টের নব্য নেতা হিসেবে নয়, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তার ব্যক্তিগত অপরাধের জন্য।
ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে আওয়ামী লীগের কোনো উদ্বেগ বা আশঙ্কা রয়েছে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে কোনো উদ্বেগ বা শঙ্কা নেই। প্রধানমন্ত্রী তো স্বাগত জানিয়েছেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কোনো পরিবর্তন আনা হচ্ছে কিনা-এ প্রশ্নে তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে সংশোধনের সুযোগ নেই, আইনের অপপ্রয়াগ যাতে না হয় সে বিষয়টি লক্ষ্য রাখব। সাংবাদিকদের জন্য এ আইন করা হয়নি। যদি আপনি কোনো অপরাধ না করেন, তাহলে ভয় কিসের? বাসস।