কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দেশে একটি সার্বিক ঐক্য প্রয়োজন। বিকল্পধারা প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বে যখন যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয় তখন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন ছিলেন না, এ কারণে আমি যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে যাইনি। একইসঙ্গে ড. কামালের নেতৃত্বে যখন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হলো তখন বি. চৌধুরী ছিলেন না। সে কারণে আমি এক্যফ্রন্টেও যাইনি। তবে জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে আগামী ৩ নভেম্বর আমি একটি আলোচনা সভার আয়োজন করবো। সেখানে প্রধান অতিথি ড. কামাল। এই আলোচনা সভায় বি. চৌধুরীকেও আমন্ত্রণ জানাবো। সেইদিনই আমি আমার দলের রাজনৈতিক অবস্থা জানাবো।
বুধবার রাজধানীর মতিঝিলে দলের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক সংলাপের উদ্যোগকে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, এই ধরনের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত ও সাহসী পদক্ষেপ বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা বলেই নিতে পেরেছেন। এই সংলাপের জন্য আমাকের ফুটপাতে ৬৪ দিন কাটাতে হয়েছে। ৩০৮ দিন আমাকে ঘরের বাইরে থাকতে হয়েছে। ফুটপাতে যখন ছিলাম তখন এই সরকারপক্ষেরই সন্ত্রাসীরা টয়লেটে ব্যবহার করার জন্য আমার বদনাটাও চুরি করে নিয়ে গিয়েছিল।
তিনি বলেন, রাজনীতিতে শেষ কথা বলতে কিছু নেই। রাজনীতি করতে হলে চাড়াল-মুচি তাদের সঙ্গেও আলোচনায় বসতে হয়। যাদের কাছ থেকে আজকে পোড়াগন্ধ আসছে তার সঙ্গেও আলোচনা করতে হয় এবং শেখ হাসিনা সেই কাজটিই করে মহত্বের পরিচয় দিয়েছেন।
কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, দেশে একটি সম্মানজনক রাজনৈতিক সমাজ চাই। আজকে শ্রমিকের মুখে কালি মাখা হলো। তবে এই কালি শ্রমিকের মুখে মাখেনি, এটা আসলে দেশ ও জাতির মুখে মেখেছে। তিনি বলেন, প্রতি মুহূর্তে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হচ্ছে। সংলাপ ডাকার আগে দেশে অস্থিরতা ছিল। এখন তা অনেকটাই কেটে গেছে। এই উদ্যোগ এবং পদক্ষেপ মাইলফলক হিসেবে বাংলাদেশের ইতিহাসে লেখা থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বীরপ্রতীক, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, সহসভাপতি আমিনুল ইসলাম তারেক।