পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বিরোধী ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) ডাকে খাগড়াছড়ির পাঁচ উপজেলায় সড়ক অবরোধ চলছে।
মানিকছড়ি উপজেলায় চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে নিহত ইউপিডিএফ কর্মী হ্লাচিংমং মারমার হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এ অবরোধের ডাক দেওয়া হয়। অবরোধ চলাকালে কোথাও পিকেটিং করতে দেখা যায়নি।
বুধবার (৫ এপ্রিল) অবরোধের ফলে জেলা শহরে দূরপাল্লার সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও জেলার অভ্যন্তরীণ সড়কেও যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে জেলা শহর ও বিভিন্ন উপজেলা শহরে ইজিবাইক ও মোটরসাইকেলসহ ছোট যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।
এদিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা নৈশকোচগুলোকে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে পুলিশি পাহারায় জেলা সদরে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
আধাবেলা সড়ক অবরোধ চলাকালে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিভিন্ন উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে।
মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, যেকোনো ধরনের নাশকতা এড়াতে বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশি পাহারায় যান চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। তবে অবরোধকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
গুইমারা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মনির হোসেন বলেন, ভোরে সেহরি খাওয়ার পর থেকেই পুলিশ মাঠে রয়েছে। যানবাহনগুলোকে নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার যোগ্যাছোলা ইউনিয়নের কালাপানি স্কুলপাড়া এলাকায় বালুর পয়েন্টে কয়েকজনসহ চাঁদাবাজী করতে এসে গণপিটুনিতে আহত হন হ্লাচিংমং মারমা। খবর পেয়ে মানিকছড়ি থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত পৌনে ১১টার দিকে তিনি মারা যান।