বাড়ছে তাপমাত্রা। পারদ ছুঁয়েছে ৪০ ডিগ্রির কাছাকাছি। সঙ্গে গুমোট ভাব। বৃষ্টি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। চৈত্রের কাঠফাটা রোদ্দুরে নাভিশ্বাস উঠেছে বাঙালির। গরম হলেও শরীর থেকে তেমন ঘাম বেরোচ্ছে না। এমন পরিস্থিতেই হতে পারে হিট স্ট্রোক।
আবহাওয়ার এমন রূপ দেখা যাচ্ছে কয়েক বছর ধরেই। বৃষ্টি তো নেই, সঙ্গে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে যারা বাইরে কাজে বের হন, তাদের কয়েকটি বিষয়ে সর্তক থাকতে হবে।
বাইরে যখন তাপমাত্রার পারদ উচ্চ, সেখানে শরীরের তাপমাত্রা কম হবে, তা হতে পারে না। শরীরের তাপমাত্রা যদি ১০৫ ডিগ্রি হয়। তখন হৃদস্পদন খুব বেড়ে যায়। রক্ত পাম্প করার জন্য হার্টকে অনেক বেশি কাজ করতে হয়।
শরীরের উপরি ভাগে ঘাম তৈরি হয়। ঘাম আমাদের শরীরকে ঠান্ডা রাখে। শরীর থেকে পর্যাপ্ত ঘাম না বেরোলে তৈরি হয় মারাত্মক পরিস্থিতি। আর তখনই ঘটে যেতে পারে হিট স্ট্রোকের মতো ঘটনা।
কী দেখে বুঝবেন হিট স্ট্রোক হয়েছে?
হঠাৎ করে হিট স্ট্রোক হয় না। হিট স্ট্রোক হওয়ার আগে মাথা ঘোরে, পেশিতে টান ধরে। মাথা ঝিমঝিম করে, সেভাবে ঘাম হয় না। শরীর যখন পানিশূন্য হয়ে যায় তখনই এমন হয়। এই লক্ষণগুলো সমন্ধে আগে থেকে জানা থাকলে অনেকটাই ঝুঁকি এড়ানো যায়।
কাদের হয় হিট স্ট্রোক?
হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হতে পারে ছোট-বড় সব ধরনের মানুষ। যারা অনেক্ষণ ধরে রোদে কাজ করেন বা আগে থেকে কোনো হার্টের সমস্যা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে হিট স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
হিট স্ট্রোক হলে কী করবেন?
গরমে সবার আগে শরীর ঠান্ডা রাখুন। বাইরে বেরোলে মুখ, মাথা কাপড়ে ঢেকে রাখুন। গরমে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। এমন সব খাবার খান, যাতে পানির পরিমাণ বেশি। চেষ্টা করবেন দুপুরের আগে সব কাজ সেরে ফেলার।
এছাড়া চা, কফি জাতীয় পানীয় এড়িয়ে চলতে পারলে ভালো। হার্টের সমস্যা থাকলে খুব ভোরে বা বিকালে যোগব্যায়াম করুন। যোগব্যায়াম হার্টের ফাংশনকে ঠিক রাখে। পাশাপাশি বাইরে বের হওয়া যদি খুবই জরুরি হয়, সেক্ষেত্রে অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করুন।