প্রত্যাবাসনের আগে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডুর পরিবেশ-পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখে এসেছে বাংলাদেশে বসবাসরত ২০ রোহিঙ্গাসহ ২৭ সদস্যের প্রতিনিধিদল। শুক্রবার (৫ মে) সকালে টেকনাফে ট্রানজিট ঘাট দিয়ে মিয়ানমারে পৌছে সেখানে রোহিঙ্গাদের জন্য তৈরি শেল্টার পরিদর্শন করেন তারা।
পরিদর্শনে গিয়ে মিয়ানমার সরকারের কাছে নিজেদের দাবিও তুলে ধরেন রোহিঙ্গারা। শুধু আবাসন সুবিধা নয়, নিজের জমি-জমা ফেরতসহ তারা স্বাধীনভাবে চলাফেলা করতে চান বলে রোহিঙ্গারা সেসময় জানান।
তবে প্রত্যাবাসনের পরিবেশ-পরিস্থিতি দেখতে যাওয়া শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) কার্যালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, সেখানকার পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তারা প্রত্যাবাসন কার্যক্রম শুরু করতে চান।
বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের ২০ সদস্যের প্রতিনিধি দল ও তাদের সহযোগিতা করতে যাওয়া সাত সদস্যের সরকারি কর্মকর্তা শুক্রবার বিকেল পৌনে ৬টায় মিয়ানমার থেকে টেকনাফে এসে পৌঁছান।
মিয়ানমার থেকে ফিরে রোহিঙ্গা নেতা মোঃ সেলিম জানান, তারা মিয়ানমার সরকারের কাছে পাঁচটি দাবি দিয়েছেন। এসব দাবি তাদের অধিকারও বটে। দাবির মধ্যে জমি ফেরত, স্বাধীনভাবে চলাচলসহ আরও তিনটি সুবিধার কথাও উল্লেখ রয়েছে। এসব কিছু মেনে নিলেই কেবল তারা মিয়ানমারে ফিরে যাবেন।
প্রতিনিধি দলের প্রধান এবং শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান জানান, রোহিঙ্গাদের সন্তুষ্টির বিষয়টি এখানে অনেকটা আপেক্ষিক। সরকার আপাতত প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করতে চায় বলে জানান তিনি।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ আট লাখ ৮৮ হাজার শরণার্থীর তালিকা মিয়ানমারের কাছে পাঠিয়েছিল। এরপর মিয়ানমারের পক্ষ থেকে ৬৮ হাজার রোহিঙ্গার একটি ফিরতি তালিকা পাঠানো হয়। সেই তালিকা ধরে যাচাই-বাছাই করতে গত মার্চ মাসে বাংলাদেশে এসেছিলেন মিয়ানমার সরকারের ১৭ জন প্রতিনিধি।