মৃত হাতিকে মাটি চাপা দেওয়ার কাজ করছেন স্থানীয়রা
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় বৈদ্যুতিক শকে একটি বন্যহাতির মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৬ মে) সকালে উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের পশ্চিম বাকাকুড়া এলাকার নুহু মিয়ার ধানক্ষেত থেকে হাতিটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে গারো পাহাড়ের গভীর অরণ্য থেকে ২৫-৩০টি বন্যহাতির একটি দল ঝিনাইগাতী উপজেলার পশ্চিম বাকাকুড়া এলাকার বোরো ধানক্ষেতে নেমে আসে। এ সময় স্থানীয় কৃষকরা মশাল জ্বালিয়ে ঢাকঢোল পিটিয়ে শব্দ করে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করে।
দিনগত রাত ১টার দিকে বন্যহাতির দল নুহু মিয়ার ধানক্ষেতে হানা দিলে বিদ্যুতের শক খেয়ে একটি পুরুষ হাতি মারা যায়। খবর পেয়ে শনিবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফারুক আল মাসুদ, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল আলম ভূঁইয়া, বনবিভাগের গজনী বিট কর্মকর্তা মকরুল ইসলাম আকন্দসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ময়নাতদন্তের জন্য দুপুরে মৃত হাতিটির নমুনা সংগ্রহের পর সেখানেই মাটিচাপা দেওয়া হয়।
উপজেলা প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এটিএম ফায়েজুর রহমান আকন্দ জাগো নিউজকে বলেন, হাতিটির নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
বনবিভাগের বালিজুড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, হাতিটি বৈদ্যুতিক শক খেয়ে মারা গেছে।
এদিকে হাতি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন শেরপুর জেলা সবুজ আন্দোলনের সভাপতি সাংবাদিক মেরাজ উদ্দিন।