নির্বাচন কমিশনের সুষ্ঠু নির্বাচন করার ক্ষমতাই নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, সরকার নির্বাচন কমিশনকে যত সুন্দরভাবেই সাজানোর চেষ্টা করুক, লাভ নেই। বিগত সময়ে এ সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশনকে দেখেছে দেশের জনগণ। নির্বাচন কমিশনকে তারা গৃহপালিত করে রেখেছে। তাই নির্বাচন কমিশনের সুষ্ঠ নির্বাচনের কোনো ক্ষমতাই নেই।
রোববার (৭ মে) দুপুরে ঠাকুরগাঁও শহরের মির্জা রুহুল আমিন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সদর উপজেলা বিএনপির সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা পরিষ্কার বলে দিয়েছি, এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়। সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। ক্ষমতা সোপর্দ করতে হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে। এরপর উন্নয়ন, শান্তি ও সমৃদ্ধির বাংলাদেশ বিনির্মানের জন্য নতুন নির্বাচনে লড়াই করতে হবে। তাই আমরা ১০ ও ২৭ দফা দাবি দিয়েছি। ওই ২৭ দফার মধ্য দিয়ে আমরা দেশের আমূল পরিবর্তনের কথা বলেছি।
এ সময় সকল অন্যায় ও অবৈধ শক্তিকে পরাজিত করে একটি সুন্দর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষে নেতাকর্মীদের শপথ গ্রহণ করার আহ্বান জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দেশে আজ যে অরাজকতার পরিবেশ বিরাজ করছে, তাতে দেশ অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে এগোচ্ছে। দেশের জনগণ আজ জানে না দেশের ভবিষ্যত কী? কী হতে যাচ্ছে জনগণের ভবিষ্যত।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে ফখরুল বলেন, ১৯৯৬ সালে আন্দোলন সংগ্রাম করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। তখন তারা কেয়ারটেকার সরকারের জন্য ১৭৬টি হরতাল দিয়েছিল। তখন অনেক লোক আহত ও হত্যার শিকার হয়। দেশটা অচল করে দিয়েছিল তারা। আমাদের নেত্রী তাদের ওই দাবি মেনে নিয়ে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়েছিলেন বলেই তারা ক্ষমতায় আসতে পেরেছিল। অথচ পরে তারাই তাদের নীতিগত দিক ভুলে গিয়ে নির্দলীয় সরকারের প্রথাটা বন্ধ করে রেখেছে। তারা জানে যে দেশের জনগণ আর তাদের সাথে নেই। তাই তাদের এতো ভয়।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সহ-সভাপতি নূর করিম, ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান হান্নু, দফতর সম্পাদক মামুন অর রশিদ, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তারিক আদনান, সদর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ, যুবদল সভাপতি চৌধুরী মহেবুল্লাহ আবুনুর, সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন তুহিন প্রমুখ।