উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র হুমকি মোকাবিলায় একসঙ্গে নৌ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা মহড়া চালিয়েছে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র।
পিয়ংইয়ং একটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) উৎক্ষেপণ করার পরের দিনই ওই মহড়াটি অনুষ্ঠিত হয় বলে জানা গেছে।
দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের মধ্যকার আন্তর্জাতিক জলসীমায় রবিবার (১৬ জুলাই) মহড়াটি পরিচালিত হয়।
তিনটি দেশ তাদের এজিস রাডার সিস্টেমে সজ্জিত ডেস্ট্রয়ার নিয়ে ওই মহড়ায় অংশ নেয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার নৌবাহিনী।
দক্ষিণ কোরিয়ার একজন নৌ কর্মকর্তা জানান, ওই মহড়ায় কম্পিউটার সিমুলেটেড ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের লক্ষ্য শনাক্তকরণ, ট্র্যাকিং ও তথ্য আদান-প্রদানের দক্ষতা অর্জনের ওপর জোর দিচ্ছেন তারা।
এদিকে কিছু দিন আগে নিজেদের জলসীমার ওপর দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গুপ্তচর বিমান উড়ে যাওয়ার বিষয়ে অভিযোগ করে উত্তর কোরিয়া। অভিযোগটি করার পরেই পিয়ংইয়ং আইসিবিএম ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে।
সিউল, টোকিও ও ওয়াশিংটন আইসিবিএম উৎক্ষেপণের নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘এটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একাধিক প্রস্তাবের স্পষ্ট লঙ্ঘন। এটি কোরীয় উপদ্বীপ ও তার বাইরের স্থিতিশীলতার জন্য একটি গুরুতর হুমকি বহন করে।’
দক্ষিণ কোরিয়ার নৌবাহিনী জানিয়েছে, যৌথ মহড়াটিকে ত্রিদেশীয় নিরাপত্তা সহযোগিতা উন্নত করার একটি পথ হিসেবে ধরে নেওয়া হয়েছে।
সেই সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র হুমকির বিরুদ্ধেও কার্যকর প্রতিক্রিয়া জানাবে তারা।
যুক্তরাষ্ট্র ও তার এশিয়ান মিত্ররা উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র সম্পর্কে নিজেদের তথ্য আদান-প্রদান ব্যবস্থাকে উন্নত করতে কাজ করছে বলে জানায় সিউল। সূত্র : আল-জাজিরা