কৃষ্ণসাগরে ইউক্রেনের বন্দরগুলো থেকে নিরাপদে শস্য পরিবহণের জন্য জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যে হওয়া চুক্তি সমাপ্ত বলে জানিয়েছে রাশিয়া। আজ সোমবার এই চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা।
তবে কৃষ্ণসাগর শস্য চুক্তিতে রাশিয়া নবায়ন করতে আগ্রহ না দেখানোয় চুক্তিটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ‘শেষ’ হয়ে গেল।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভের বরাত দিয়ে আজ সোমবার রুশ গণমাধ্যম আরটি এ তথ্য জানিয়েছে।
কয়েকমাস ধরেই রাশিয়া বলে আসছিল যে তার মেয়াদ বাড়ানোর শর্ত পূরণ করা হয়নি। তবে মুখপাত্র জানিয়েছেন যে, শর্ত মানা হলে মস্কো আবার চুক্তিতে ফিরে আসবে।
রাশিয়ার অভিযোগ, শিপিং ও বীমার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেশটির খাদ্য ও সার রপ্তানিকে বাধাগ্রস্ত করেছে। তা ছাড়া গত বৃহস্পতিবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সতর্ক করে বলেছিলেন যে খাদ্য ও সার রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করা হলে মস্কো এই ‘চুক্তি থেকে নিজেকে স্থগিত’ করবে।
সোমবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেন, “দুর্ভাগ্যবশত, রাশিয়া এই কৃষ্ণ সাগর চুক্তির অংশটিতে এখন পর্যন্ত নবায়ন করেনি। তাই এই চুক্তি বন্ধ করা হয়েছে।
তবে ক্রিমিয়ান সেতুতে রাতারাতি হামলা এবং কৃষ্ণসাগরের শস্য চুক্তিতে অংশগ্রহণ স্থগিত করার রাশিয়ার সিদ্ধান্তের মধ্যে কোন যোগসূত্র নেই বলেও জানান মুখপাত্র।
এদিকে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভার বরাতে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আরআইএ জানায় যে মস্কো চুক্তির বিষয়ে তার সিদ্ধান্ত ইউক্রেন, তুরস্ক এবং জাতিসংঘকে অবহিত করেছে।
গত বছরের জুলাইয়ে জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় রাশিয়া ও ইউক্রেন ‘কৃষ্ণসাগর শস্য চুক্তি’ সই করে। নভেম্বরে চুক্তিটি ১২০ দিনের জন্য নবায়ন করা হয়েছিল। মার্চে রাশিয়া ১২০ দিনের পরিবর্তে ৬০ দিনের জন্য শস্য রপ্তানি চুক্তিটি নবায়নের সুপারিশ করে। আজ সোমবার চুক্তির সময়সীমা শেষ হওয়ার কথা।
চুক্তি নবায়নের জন্য জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে চিঠিও লিখেছিলেন।