কোরীয় উপদ্বীপের পশ্চিমে সমুদ্রের দিকে বেশ কয়েকটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে উত্তর কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী শনিবার এমন তথ্য জানিয়েছে।
সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির বিরুদ্ধে সামরিক শক্তি প্রদর্শনের পদক্ষেপ নেয় যুক্তরাষ্ট্র। এরপর গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপের বিরুদ্ধে দুটি ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে পিয়ংইয়ং। তারপর এটি উত্তর কোরিয়ার সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপন। তবে এবার ভূমি থেকে নয়, ছোঁড়া হয়েছে জাহাজ থেকে। খবর রয়টার্সের
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ জানিয়েছেন, শনিবার স্থানীয় সময় ভোর চারটার দিকে উৎক্ষেপণ করা বেশ কয়েকটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করা হয়েছে।
এর আগে দক্ষিণ কোরিয়ায় একটি পরমাণু শক্তিধর ব্যালেস্টিক ক্ষেপনাস্ত্র সাবমেরিন (এসএসবিএন) পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র। এর কয়েক ঘণ্টা পর বুধবার দুটি ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ে উত্তর কোররিয়া।
উত্তর কোরিয়া বৃহস্পতিবারও সতর্ক করেছে যে, দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন বিমানবাহী রণতরী, বোমারু বিমান বা ক্ষেপণাস্ত্র সাবমেরিন মোতায়েনের পর উত্তর কোরিয়ায় পারমাণবিক হামলা চালাতে পারে।
এর আগে চার দশকের মধ্যে প্রথমবার দক্ষিণ কোরিয়ার বন্দরে ভেড়ে মার্কিন সাবমেরিন। এরপরই ‘জবাব’ দিতে জোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ে উত্তর কোরিয়া।
দু’টি ক্ষেপণাস্ত্রই জাপানের অর্থনৈতিক অঞ্চলে পড়েছে। এমনটি জানায় জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী। তবে কোনও ক্ষয়ক্ষতির কথা জানা যায়নি।
এ বিষয়ে জাপানের তরফে কড়া বিবৃতি জারি করা হয়েছে। একই ভাবে যুক্তরাষ্ট্রও জানিয়েছে, তারা পুরো বিষয়টির দিকে নজর রাখছে এবং তাদের সঙ্গী দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
এর আগে সম্প্রতি মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান টেলিভিশনের একটি টকশোতে অংশ নিয়ে বলেন, উত্তর কোরিয়া যদি নতুন করে পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালায়, তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন তাতে অবাক হবে না।