• শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৪ অপরাহ্ন

কম্বোডিয়ায় একতরফা নির্বাচনে জড়িতদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল যুক্তরাষ্ট্র

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : সোমবার, ২৪ জুলাই, ২০২৩

কম্বোডিয়ার দক্ষিণ-পূর্বের প্রদেশ কান্দালের তাকহুমায় রবিবার ভোট দিয়ে আঙুল দেখাচ্ছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী হুন সেন, সঙ্গে স্ত্রী বুন র‌্যানি—সিএনএন

দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশ কম্বোডিয়ায় ‘অবাধ’ ও ‘সুষ্ঠু’ নির্বাচন না হওয়ায় এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে দেশটিতে কিছু বৈদেশিক সহায়তা কর্মসূচিও স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট।

কম্বোডিয়ায় রবিবার একতরফা সাধারণ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন কম্বোডিয়ান পিপলস পার্টি (সিপিপি) ‘ভূমিধস বিজয়’ ঘোষণার পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা জানাল।

কম্বোডিয়ায় ক্ষমতাসীন কম্বোডিয়ান পিপলস পার্টির (সিপিপি) বিরুদ্ধে বছরের পর বছর প্রতিপক্ষ দলগুলোর ওপর নির্দয় দমনপীড়ন চালানোর অভিযোগ রয়েছে। দলটির সঙ্গে রবিবারের ভোটে আর যারা অংশ নিয়েছে তাদের কেউই ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার ক্ষমতা রাখে না।

রবিবারের নির্বাচনে ‘গণতান্ত্রিক মডেলের স্বৈরশাসক’ হুন সেনের দল সিপিপি ১২০টি আসনে জিতেছে। আর সিপিপির অনুগত বিরোধী দল ফানসিনপেক পার্টি পেয়েছে ৫টি আসন।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কম্বোডিয়ার সাধারণ নির্বাচন ‘অবাধ’ ও ‘সুষ্ঠু’ কোনোটাই হয়নি। নির্বাচন শুরুর আগে থেকেই ক্ষমতাসীনরা বিরোধী দল, গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজসহ সংবিধানকে অবজ্ঞা করে আসছিল। নির্বাচনটি আর্ন্তজাতিক মানের ধারে কাছেও যায়নি। এমন প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনে জড়িতদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে বলেছেন, কম্বোডিয়ায় নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের সিপিপি কোনো কার্যকর প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হয়নি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এমন ব্যক্তিদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করছে, যারা গণতন্ত্রকে ক্ষুন্ন করেছে এবং কিছু বিদেশি সহায়তা কর্মসূচির বিরতি বাস্তবায়ন করেছে।

মিলার কম্বোডিয়ার কর্তৃপক্ষকে প্রকৃত বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করার, রাজনৈতিকভাবে অনুপ্রাণিত বিচারের অবসান, সরকারি সমালোচকদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক মামলা বন্ধ করা এবং গণমাধ্যমকে সরকারি হস্তক্ষেপ ছাড়াই কাজ করার অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

টানা ৩৮ বছর কম্বোডিয়ার ক্ষমতায় প্রধানমন্ত্রী হুন সেন। ১৯৮৫ সাল থেকে ক্ষমতা ধরে রাখা এই শাসকের বিরুদ্ধে বিরোধী দলকে দমন, তাদের বিরুদ্ধে আদালতকে ব্যবহার, সামরিক বাহিনী, পুলিশসহ গোয়েন্দা গোষ্ঠীকে হাতের মুঠোয় রাখা, বিরোধী নেতাদের নির্বাসনে পাঠানোর অভিযোগ বেশ পুরনো।

এরই মধ্যে ছেলে হুন মানেটের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের পথ নির্বিঘ্নে সকল বাধা অপসারণে প্রতিজ্ঞ করেছেন ৭০ বছর বয়সী হুন সেন। এমনকি নির্বাচনের কয়েকদিন আগে হুন সেন তার ছেলে মানেট শিগগির প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন বলেও ইঙ্গিত দেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ