মাদক পাচারের দায়ে দুই দশকের মধ্যে প্রথমবারের মত কোনও নারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে যাচ্ছে সিঙ্গাপুর। চলতি সপ্তাহে তার ফাঁসি কার্যকর করার কথা রয়েছে। এ ছাড়া আরও এক চোরাকারবারীর ফাঁসি কার্যকর করা হতে পারে দেশটিতে।
বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় বার্তা সংস্থা বিবিসি নিউজ।
দেশটির স্থানীয় মানবাধিকার সংস্থা ট্রান্সফরমেটিভ জাস্টিস কালেক্টিভ (টিজেসি) জানায়, সিঙ্গাপুরের নাগরিক ৪৫ বছর বয়সী সারিদেউই জামানি ২০১৮ সালে ৩০ গ্রাম হেরোইন পাচারের জন্য দোষী সাব্যস্ত হন। এর আগে ২০০৪ সালে মাদক পাচারের দায়ে ইয়েন মে উয়েন নামের আরেক নারীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল।
স্থানীয় মিডিয়া জানায়, মাদক পাচারের কথা স্বীকার করেছে সারিদেউই। বিচার চলাকালীন তিনি সাক্ষ্য দিয়েছিলেন যে রোজার মাসে ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য হেরোইন মজুত করেছিলেন তিনি।
তার ফ্ল্যাট থেকে হেরোইন এবং মেথামফেটামিনের মতো মাদক বিক্রির বিষয়টি অস্বীকার না করলেও তিনি সেই কার্যকলাপের মাত্রা কমিয়ে দিয়েছিলেন বলে জানায় বিচারক সি কি ওন।
টিজেসি আরও জানায়, সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি কারাগারে চলতি সপ্তাহেই আরেকজনের ফাঁসি কার্যকর করা হতে পারে। ৫৬ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে ৫০ গ্রাম হেরোইন পাচারের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
বিশ্বের মধ্যে কঠিনতম মাদকবিরোধী আইন রয়েছে সিঙ্গাপুরে, যেগুলো সমাজকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় বলছে দেশটির সরকার। কঠোর মাদক আইন সিঙ্গাপুরকে বিশ্বের অন্যতম নিরাপদ স্থান হিসাবে রাখতে সাহায্য করে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সরকারের এসব যুক্তি মানতে নারাজ মৃত্যুদণ্ড বিরোধী আইনজীবীরা।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে যে চীন, ইরান এবং সৌদি আরবের পর সিঙ্গাপুর চতুর্থ দেশ যেখানে সম্প্রতি মাদক সংক্রান্ত মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।