সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তার ২০২০ সালের নির্বাচনে পরাজয় উল্টে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের জন্য অপরাধমূলকভাবে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতারণা করার ষড়যন্ত্র, একজন সাক্ষীর ওপর অবৈধভাবে প্রভাব বিস্তার এবং নাগরিকদের অধিকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রসহ চারটি অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে ট্রাম্পকে।
এই অভিযোগপত্রের মধ্যে দিয়ে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ইউএস ক্যাপিটলে দাঙ্গার আশপাশের ঘটনাগুলোর তদন্ত সমাপ্ত হলো।
৭৭ বছর বয়সী ট্রাম্প, যিনি আবার প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, দোষ অস্বীকার করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি মামলাটিকে ‘হাস্যকর’ বলেছেন।
তাকে ইতিমধ্যেই আরও দুটি মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। সেগুলো হলো ক্লাসিফাইড ফাইলগুলোকে অব্যবস্থাপনা করা এবং একজন পর্ন তারকাকে গোপনে অর্থ দেয়ার বিষয় ঢেকে রাখার জন্য ব্যবসায়িক রেকর্ডকে জাল করা।
নির্বাচনী তদন্তে ট্রাম্পের ক্রিয়াকলাপের ওপর দৃষ্টি রাখা হয়েছে। তদন্তের নেতৃত্বদানকারী মার্কিন বিচার বিভাগ-নিযুক্ত বিশেষ কাউন্সেল জ্যাক স্মিথ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বলেছেন, ‘আমাদের দেশের রাজধানীতে ৬ জানুয়ারি, ২০২১ -এ হামলা ছিল আমেরিকান গণতন্ত্রের আসনে একটি অভূতপূর্ব আক্রমণ।
ট্রাম্পকে বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন ডিসিতে আদালতে হাজির করার কথা রয়েছে।
৪৫ পৃষ্ঠার অভিযোগে ছয়জন অজ্ঞাতনামা সহষড়যন্ত্রকারীর তালিকা রয়েছে। এর মধ্যে চার আইনজীবী, একজন বিচার বিভাগের কর্মকর্তা এবং একজন রাজনৈতিক পরামর্শদাতা।
আদালতের নথিতে ট্রাম্পকে অসততা, জালিয়াতি এবং প্রতারণার মাধ্যমে ফেডারেল সরকারের কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করা, বাধা দেওয়া এবং পরাজিত করার ষড়যন্ত্র বলে অভিযুক্ত করা হয়েছে।