• শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫১ অপরাহ্ন

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক না করার অঙ্গীকার

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী আব্দুল হামিদ আল দাবিবাহ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সম্প্রতি দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে অনুষ্ঠিত একটি গোপন বৈঠকের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর তিনি এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

দাবিবাহ জানিয়েছেন, তার সরকার ইসরায়েলের সঙ্গে যে কোনো স্বাভাবিককরণ চুক্তিকে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করে। তিনি ফিলিস্তিনি জনগণ এবং তাদের ন্যায়সঙ্গত যে কোনো বিষয়ের প্রতি লিবিয়ার সম্পূর্ণ অঙ্গীকার তুলে ধরেন।

৩১ আগস্ট, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টেলিভিশনে প্রচারিত মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমরা যে কোনো ধরনের স্বাভাবিককরণকে প্রত্যাখ্যান করছি। লিবিয়া দীর্ঘজীবী হোক, ফিলিস্তিন দীর্ঘজীবী হোক এবং আমাদের সকলের হৃদয়ে ফিলিস্তিন সংক্রান্ত যে কোনো বিষয় দীর্ঘজীবী হোক।

এর আগে লিবিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী নাজলা আল মাঙ্গুশ এবং তার ইসরায়েলি প্রতিপক্ষ এলি কোহেনের মধ্যে ইতালির রাজধানী রোমে একটি গোপন বৈঠকের খবর প্রকাশিত হয়। এরপর লিবিয়াজুড়ে বিক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এই ঘটনা ইসরায়েলেও একটি রাজনৈতিক সংকটের জন্ম দেয়।

লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী গণমাধ্যমে বলেছেন, রোমে যা ঘটেছে তা পরিস্থিতির কারণেই হোক বা ভালো বা খারাপ যে উদ্দেশ্যেই ঘটুক না কেন এটি একটি গুরুতর বিষয়।

তিনি জানিয়েছেন, এই খবরের প্রতিক্রিয়ায় লিবিয়ার জনগণ যা করেছে তাতে তিনি গর্ববোধ করছেন। তিনি স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছেন, ফিলিস্তিন ইস্যু লিবিয়ানদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এটি কখনোই ভুলে যাওয়ার নয়।

এদিকে ইসরায়েলি গুপ্তচর প্রধান, রাজনীতিবিদ এবং এমনকি মার্কিন কর্মকর্তারা এই বৈঠকের খবর ফাঁসের জন্য কোহেনের নিন্দা করেছেন। তাদের অভিযোগ, এর ফলে আরব রাজনীতিবিদরা ইসরায়েলি আলোচকদের উপর আস্থা হারাতে পারেন। এছাড়া এটি ভবিষ্যতের স্বাভাবিককরণ আলোচনাকেও গুরুতরভাবে হুমকির মুখে ফেলতে পারে।

যদিও সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, মরক্কো এবং সুদান সম্প্রতি ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে। তবে আরব দেশগুলোর জনগণ ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরায়েলি নিপীড়নের কারণে এমন পদক্ষেপের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।

হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াহ লিবিয়ার প্রেসিডেন্সিয়াল কাউন্সিলের প্রধান মোহাম্মদ আল-মানফির সঙ্গে কোহেন-মাঙ্গুশ বৈঠক সম্পর্কে কথা বলেছেন। এই বৈঠককে তিনি লিবিয়ার অবস্থানে অনুপ্রবেশ করার জন্য দখলদারিত্বের একটি প্রচেষ্টা হিসাবে বর্ণনা করেছেন। লিবিয়া যে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিককরণকে প্রত্যাখ্যান করেছে তার প্রশংসা করেছেন তিনি।

উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে ইতালিতে ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেনের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন লিবিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী নাজলা আল মাঙ্গুশ। ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে বিবৃতি দেওয়ার পর বিক্ষোভে ফেটে পড়ে লিবিয়ার জনগণ। এরপর মাঙ্গুশকে বরখাস্ত করা হয়। তিনি তুরস্কে পালিয়ে যান।

সূত্র: দ্য নিউ আরব


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ