বাসমতি চাল রপ্তানি পুরো বন্ধ করে ভারত সিদ্ধ ও ভাঙা চালে ২০ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধি করায় বিশ্ববাজারে চালের দাম বিপজ্জনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। চাল উৎপাদনে চারটি দেশ ক্রমপর্যায় অনুযায়ী সবার আগে- চীন, ভারত, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনাম। বাংলাদেশেও চাল উৎপাদিত হয় ভালো মাত্রায়। কিন্তু চীন এবং বাংলাদেশ চাল রপ্তানি না করায় গোটা বিশ্ব মূলত নির্ভর করে ভারতের রপ্তানির ওপর। বিদেশের বাজারে ভারতীয় চালের দাম টনপ্রতি ৪৪৬ ডলার হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই।
হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমিরেটাস অধ্যাপক পিটার টিমার বলেছেন, ভারতের এই সিদ্ধান্তে দরিদ্র দেশগুলো খুব সংকটে পড়বে। বিশিষ্ট চাল রপ্তানিকারক সংস্থা রাইসভিলা জানিয়েছে, ভাঙা চালে রপ্তানি শুল্ক বেশি হওয়ায় আফ্রিকার দেশগুলো সংকটে পড়েছে। বেনিন, সুদান, টোগো, মালির মতো দরিদ্র দেশগুলো ভাঙা চালের ওপর নির্ভরশীল। তারা রীতিমতো সমস্যায় পড়েছে।
রাইসভিলা জানাচ্ছে, ২০২২-এর জুলাইয়ে চালে ভারতে মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ ছিল চার দশমিক তিন শতাংশ। সেটি বেড়ে ২০০০ সালের জুলাইয়ে দাঁড়ায় ১২ শতাংশ। এখন চালে মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ ১২ দশমিক ৬ শতাংশ।
অর্থাৎ বোঝা যাচ্ছে, চালে নিয়ন্ত্রণ জারি করেও অভ্যন্তরীণ বাজারকে সিধে করা যায়নি। তিন দশমিক এক মিলিয়ন টন সিদ্ধ চাল বিদেশে রপ্তানি করে ভারত। এই রপ্তানিতে টান ধরার ফলে বিশ্ববাজার চড়া হচ্ছে দাম। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রাভঙ্গ করেও আখেরে লাভ হয়নি ভারতের।