• রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫৮ পূর্বাহ্ন

চলতি মাসে শুরু হতে পারে প্রাথমিকে দুপুরের খাবার

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বুধবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৩
ফাইল ছবি

দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুল ফিডিং প্রোগ্রাম চালুর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। প্রথমিকভাবে চলতি মাসেই দেশের ১৫০টি উপজেলার সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই প্রোগ্রামটি চালুর সম্ভাবনা রয়েছে। এই কর্মসূচি শিক্ষার্থীদের ক্লাসে উপস্থিতি বাড়াতে ও বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়া কমাতে সহায়তা করবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে পাঁচ বছর মেয়াদী এই প্রকল্পের একটি উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) প্রস্তুত করেছে। যার আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা। শিগগিরই প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হবে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

এই প্রকল্পের আওতায় প্রায় ২০ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩৫ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী স্কুলে দুপুরের খাবার পাবে। তবে পর্যায়ক্রমে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে এ প্রকল্পের আওতায় আনা হবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘আশা করি প্রকল্পটি শীঘ্রই অনুমোদন পাবে এবং আমরা চলতি মাসেই মিড-ডে মিল চালু করতে পারবো।’

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, শিক্ষার্থীদের দুপুরের খাবার হিসাবে প্রতি দিনের জন্য বিভিন্ন ধরনের খাবার সরবরাহ করা হবে। এর মধ্যে থাকবে মৌসুমি ফল, কলা, ডিম এবং রুটি। তবে রান্নার করার জায়গা ও লোকবল সংকটের জন্য অনেক স্কুলে গরম খাবার সরবরাহ করা যাবে না।’

জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি ২০০১ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত স্কুলশিশুদের খাওয়ানোর জন্য প্রকল্প চালিয়েছিল। সর্বশেষ ২০১০ সালে সরকারি স্কুল ফিডিং প্রোগ্রাম চালু করা হয়েছিল। এ কর্মসূচির আওতায় সরকার ১০৪ উপজেলার প্রায় ৩০ লাখ স্কুলশিক্ষার্থীকে ৭৫ গ্রাম ফর্টিফাইড বিস্কুট দিয়েছে। প্রকল্পটি ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত চলে।

কিন্তু এই কর্মসূচি শেষ হওয়ার আগেই ২০২০ সালের আগস্টে ৬৫ হাজার ৫৬৬ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ কোটি ৪১ লাখ শিক্ষার্থীকে ৫ বছর খাবার দেওয়া অব্যাহত রাখার জন্য ১৭ হাজার ২৯০ কোটি টাকার কর্মসূচি প্রস্তুত করে মন্ত্রণালয়।

এই কর্মসূচিতে খিচুড়িসহ অন্যান্য মিড-ডে মিল সরবরাহ ও প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণের জন্য কর্মকর্তাদের বিদেশে পাঠানোর বিধান থাকায় এটি ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। ফলে ২০২১ সালের জুনে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) এই প্রকল্পের অনুমোদন দিতে অস্বীকার করে।

পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান সে সময় বলেছিলেন, ‘এ প্রকল্প অনুমোদন পায়নি। কারণ, প্রধানমন্ত্রী এর কাঠামো (মোডাস অপারেন্ডি) নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি জানান, স্কুলে খিচুড়ি রান্না হলে পড়ালেখার পরিবেশ বিঘ্নিত হতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রকল্প পরিকল্পনা সংস্কারের নির্দেশ দেন।

প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এসব বিদ্যালয়ে উপস্থিতি বেড়েছে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ ও ঝরে পড়ার হার কমেছে ৬ শতাংশ।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, ২০১০ সালে প্রাথমিক পর্যায়ে ঝরে পড়ার হার ছিল ৩৯ দশমিক ৮ শতাংশ। ২০২১ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ১৫ শতাংশে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ