• বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪৩ পূর্বাহ্ন

প্রধান বিচারপতিকে যারা ছুটিতে পাঠিয়েছেন তারা আপনাকেও পাঠাবে -গয়েশ্বর

আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৭

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, প্রধান বিচারপতিকে অসুস্থ বলে যাদের দ্বারা ছুটিতে পাঠাতে বাধ্য করেছেন তারাই একদিন আপনাকে অসুস্থ বলে ছুটিতে পাঠাতে পারেন। তাই স্বাভাবিক পরিস্থিতিকে স্বাভাবিকভাবে চলতে দেন। অস্বাভাবিক পরিস্থিতি আসলে কোন দলই লাভবান হবে না।
৫ জানুয়ারি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যারা এরশাদকে অসুস্থ বানিয়েছিলেন আজও তারাই প্রধান বিচারপতিকে অসুস্থ বানিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘সুশাসন ও নাগরিক অধিকার’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আলহাজ্ব এ.কে.এম মোয়াজ্জেম হোসেনের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা’র ছুটির প্রসঙ্গে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, গোটা ব্যবস্থাটাই বিচার বিভাগের ওপর নগ্ন হামলা। কারণ ষোড়শ সংশোধনীর রায় ৭ জন একসঙ্গেই ঐকমত্যের ভিত্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। তাহলে প্রধান বিচারপতির যদি ছুটি হয়, বাকি ৬ জন ছুটি নেন না কেন?

নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম আয়োজিত এ সভায় তিনি বলেন, আজকে আদালতের পাশ দিয়ে আসার সময় লক্ষ করলাম রাস্তার দুই পাশে বড় বড় ফেস্টুন টানানো আর সেখানে লেখা আছে মাদার অব হিউম্যানেটি। মনে হল যারা এই শব্দটা যার বেলায় অবতারণা করেছেন, তারা জনগণের সাথে মশকরা করেছেন। বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা দেশি এবং আন্তর্জাতিক প্রতি বছর রিপোর্ট ছাপে যে বাংলাদেশে মানবাধিকার নেই। আর সেই দেশ অন্যায় ভাবে জনগণের সমর্থন ছাড়া পেশি শক্তির বলে প্রশাসনকে দলীয় ক্যাডার হিসেবে কাজে লাগিয়ে যারা ক্ষমতায় আছেন সেই ক্ষমতার শীর্ষ ব্যক্তিদের যখন মাদার অব হিউম্যানেটি বলে সেটা জনগণের সাথে মশকরা, ঠাট্টা ছাড়া আর কিছুই নয়।

স্বৈরাচার পতনের আগে যেসব ঘটনা ঘটে এখন তার আলামত চলছে বলেও মন্তব্য করেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

শেখ হাসিনা নোবেল পাওয়ার যোগ্য মন্তব্য করে তিনি বলেন, শান্তি ও অর্থনীতির জন্য নয়, গুমের জন্য তিনি নোবেল পাওয়ার যোগ্য। এমনকি ৫ ই জানুয়ারির অদ্ভুত নির্বাচনের জন্য তার নোবেল পাওয়া উচিৎ ছিল। যেহেতু নোবেল কমিটি তাকে দেয় নাই তাই আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের উচিৎ নীল খেত থেকে একটি নোবেল কিনে তাকে দেয়া। সেখানে অনেক নোবেল পাওয়া যায়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ