• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২৪ অপরাহ্ন

শীতে চুলের যত্নে ভরসা হেয়ার মাস্ক

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : রবিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৩
ছবি : সংগৃহীত

আসছে শীতের মৌসুম, আর এ মৌসুমে বাতাসে দেখা দেয় রুক্ষ ও শুষ্ক ভাব। আর তাই সঠিকভাবে চুলের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে রুক্ষ, শুষ্ক চুলের জন্য শীতের সময় একটু বেশিই খেয়াল রাখতে হয়। শীতের সময়ে চুলের রুক্ষ, শুষ্ক ভাব দূর করে মোলায়েম ভাব এবং উজ্জ্বলতা বজায় রাখার জন্য ব্যবহার করতে পারেন হেয়ার মাস্ক। বাড়িতেই তৈরি করে নেওয়া যায় এই হেয়ার মাস্ক। সেক্ষেত্রে কী কী উপকরণ ব্যবহার করবেন, তা জেনে নিন।

মূলত চুলের রুক্ষ, শুষ্ক ভাব, ডগা ফেটে যাওয়া বা স্প্লিট এন্ডস, চুলের লালচে ভাব, মাঝখান থেকে চুল ভেঙে যাওয়া বা ভঙ্গুর হওয়া অর্থাৎ হেয়ার ব্রেকেজ- এইসব সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে হেয়ার মাস্ক।

বাড়িতে হেয়ার মাস্ক তৈরি করবেন যেভাবে-

বাড়িতে হেয়ার মাস্ক তৈরির ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন ইয়োগার্ট বা টক দই, পাতিলেবুর রস এবং অ্যাপেল সিডার ভিনিগার। এই তিনটি উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে তা লাগিয়ে নিন চুলের লম্বা অংশ বা লেংথ পোরশন এবং স্ক্যাল্প বা মাথার তালুতে। ৩০ মিনিট মাথায় এই হেয়ার মাস্ক লাগিয়ে রাখার পর তা শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দু’ থেকে তিনবার এই হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন।

ডিমের কুসুম, মধু এবং অলিভ অয়েল মিশিয়েও বাড়িতে সহজে তৈরি করে নেওয়া যায় হেয়ার মাস্ক। একটা ডিমের কুসুমের সঙ্গে এক চামচ মধু এবং এক চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে এই হেয়ার মাস্ক তৈরি করা যায়। চুলে এবং স্ক্যাল্পে এই মিশ্রণ ঘণ্টাখানেক লাগিয়ে রাখার পর শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে নিতে হবে।

ইয়োগার্ট, কলা এবং অলিভ অয়েল মিশিয়ে তৈরি করে নিন হেয়ার মাস্ক। ইয়োগার্টের পরিবর্তে ব্যবহার করতে পারেন টক দই। এ ছাড়াও পাকা কলা ব্যবহার করতে হবে এই হেয়ার মাস্ক তৈরির জন্য। চুলে পুষ্টি জোগাতেও এই হেয়ার মাস্ক সাহায্য করবে।

চুলের জন্য বাড়িতে মাস্ক তৈরি করতে নারকেল তেলের সঙ্গে সামান্য অ্যাপেল সিডার ভিনিগার এবং মধু মিশিয়ে খুব তাড়াতাড়ি তৈরি করে নিন হেয়ার মাস্ক।

ত্বকের মতো চুলের পরিচর্যাতেও দুধ ব্যবহার করা যেতে পারে। কাঁচা দুধের সঙ্গে সামান্য মধু মিশিয়ে তৈরি করে নেওয়া যায় হেয়ার মাস্ক।

যাদের চুল খুবই রুক্ষ এবং শুষ্ক প্রকৃতির তাদের শীতের মরসুমে কয়েকটা জিনিস অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। বিশেষ করে চুল শুকিয়ে নেওয়ার জন্য হেয়ার ড্রায়ার বা ব্লোয়ার ব্যবহার না করাই ভালো।

এ ছাড়াও চুলে শ্যাম্পু করলে অবশ্যই ব্যবহার করুন কন্ডিশনার। চুলে তেল ম্যাসাজ করাও জরুরি। এর পাশাপাশি ব্যবহার করতে পারেন হেয়ার সিরাম।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ