বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জে অফিসে হামলা চালিয়ে ১৯ জেলেকে ছিনিয়ে নিয়েছে চোরাকারবারিরা। অবৈধভাবে পাচারকালে মঙ্গলবার সকালে সুন্দরবনের নন্দবালা এলাকায় পশুন নদী থেকে একটি ফিশিং ট্রলার ও ৪টি নৌকা বোঝাই ২০ লাখ টাকা মূল্যের শিলা কাঁকড়াসহ ২৫ জেলেকে আটক করে বন বিভাগ। আটক জেলেদের নন্দবালা থেকে চাঁদপাই রেঞ্জে অফিসে আনার পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পাচাকারিরা অতর্কিত হামলা ও ভাংচুর চালিয়ে ওই জেলেদের ছিনিয়ে নিয়েছে। বাকি ৬ জেলে ইউনুছ আলী (৫৫), আজিজুল (২২), রাজ্জাক (৩০), জাহিদুল (২৩), মিজান (৩০) ও তোফাজ্জোল (৩৫) বন বিভাগের হাতে আটক রয়েছে।
সুন্দরবন বিভাগ জানায়, অবৈধভাবে পাচারকালে আজ মঙ্গলবার সকালে সুন্দরবনের নন্দবালা এলাকায় পশুর নদী থেকে একটি ফিশিং ট্রলার ও ৪টি নৌকা বোঝাই ৮০ ক্যারেট শিলা কাঁকড়াসহ ২৫ জেলেকে আটক করা হয়। এসব জেলেদের নন্দবালা থেকে চাঁদপাই রেঞ্জে অফিসে আনার পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পাচাকারিরা অতর্কিত হামলা ও ভাংচুর চালিয়ে ১৯ জেলেকে ছিনিয়ে নিয়েছে। বাকি ৬ জেলেকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে বুধবার দুপুরে মোংলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলেরা অভিযোগ করেন, তারা সুন্দরবন বিভাগ থেকে বৈধ পাস-পারমিট (অনুমতিপত্র) নিয়ে ঝড়ে আটকে পড়া জেলেরা ৮০ ক্যারেট বোঝাই ২০ লাখ টাকা মূল্যের ৪০ মণ শিলা কাঁকড়া নিয়ে মোংলায় ফিরছিল। এসময়ে জেলেদের কাছে অনৈতিকভাবে অর্থ দাবি করেন চাঁদপাই স্টেশন কর্মকর্তা আনিসুর রহমানসহ বনরক্ষীরা। তারা চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় একটি ফিশিং ট্রলার ও ৪টি নৌকা বোঝাই ২০ লাখ টাকা মূল্যের ৪০ মণ শিলা কাঁকড়াসহ ৬ জেলেকে মারপিট করে আটক করে নিয়ে যায় বন বিভাগ। এসময়ে বনরক্ষীদের হামলায় রুমি শেখ (১৮) ও আলমঙ্গীর (২৬) নামে অপর দুই জেলে নিখোঁজ হয়। সংবাদ সম্মেলনে নিখোঁজ দুই জেলের সন্ধান ও আটক ৬ জেলের মুক্তির দাবি করা হয়।
এ বিষয়ে সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) রানা দেব জানান, জেলেরা দুবলায় তাদের পাস জমা না অবৈধ ভাবে ইঞ্জিন চালিত নৌকা ট্রলার করে কাঁকড়া পাচারের দায়ে ২৫ জেলেকে আটক করা হয়। অবৈধভাবে সুন্দরবনে প্রবেশের দায়ে ৪টি ইঞ্জিন চালিত নৌকা, একটি ট্রলারসহ শিলা কাঁকড়া জব্দ করে ২৫ জেলেকে চাঁদপাই রেঞ্জ অফিসে আনা হয়। বুধবার সন্ধ্যায় পাচারকারিরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১৯ জেলেকে ছিনিয়ে নয়। বিভাগীয় কর্মকর্তার নির্দেশে পরবর্তি ব্যবস্থা নেয়া হবে।