রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আজ ভূমিকম্প হয়েছে। ভূমিকম্পে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের বিভিন্ন স্থানে খসে পড়েছে পলেস্তারা। এ ছাড়া ভেঙে পড়েছে পাঠকক্ষের দরজার গ্লাস। এতে কোনো শিক্ষার্থী হতাহত না হলেও হুড়াহুড়ি করে নামতে গিয়ে সামান্য আহত হয়েছেন কয়েকজন। এ ঘটনায় যেকোনো মুহূর্তে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে ৫ দশমিক ৬ রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানায়, ভূকম্পনটির উৎপত্তিস্থল ছিল লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ থেকে ৮ কিলোমিটার দক্ষিণ-উত্তর দক্ষিণে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৫। ভূপৃষ্ঠ থেকে এর গভীরতা ছিল মাত্র ১০ কিলোমিটার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচীন হল হাজী মুহম্মদ মুহসীন। হলটি এমনিতেই জরাজীর্ণ হওয়ায় মাঝেমধ্যেই পলেস্তারা খসে পড়ে। এজন্য হল কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েকবার হলটিতে সংস্কারও করেছে। এর মধ্যেই আজকের এ ভূমিকম্প হলটির অবস্থা আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে। বড় মাত্রার কোনো ভূমিকম্প হলে হলটি সহজেই ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন শিক্ষার্থীরা।
সরজমিনে দেখা গেছে, ভূমিকম্পে হলটির কয়েকটি কক্ষের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়েছে, দোতলার বারান্দার কার্নিশের একটি অংশ এবং রিডিং রুমের দরজার কাচ ভেঙে পড়ে। এ সময় শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে হলের বাইরে নেমে আসেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, হলে প্রায়ই বিভিন্ন কক্ষে উপর থেকে ইট-সুরকি খসে পড়ে। আজকের ভূমিকম্পে বেশ কয়েক জায়গায় এরকম ফাটল, পলেস্তারা খুলে পড়েছে। এ ছাড়া পাঠকক্ষের দরজার গ্লাসও ভেঙে গেছে।
এ বিষয়ে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মাসুদুর রহমান বলেন, গতবার ভূমিকম্পেও আমাদের হল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তখন আমরা বুয়েটের বিশেষজ্ঞ কমিটির মাধ্যমে চিহ্নিত করে তাদের সুপারিশ অনুযায়ী হল সংস্কার করেছি। রোববার প্রকৌশল দপ্তরকে জানিয়ে যেসব স্থানে আজকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলো চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। পুরনো হল হওয়ায় এগুলো ঘটছে।