পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে আরেকটি বিস্ফোরণ ঘটেছে। এতে অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছে। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বেলোচিস্তানের কিল্লা সাইফুল্লাহ নামক এলাকায় রাজনৈতিক দল জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলাম ফজল (জেইউআই-এফ) কার্যালয়ের বাইরে এ বিস্ফোরণ ঘটে।
বেলোচিস্তানের প্রাদেশিক তথ্যমন্ত্রী জান আচাকজাই এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, দ্বিতীয় বিস্ফোরণে অন্তত ১২ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি কমপক্ষে ১৭ জন আহত হয়েছে।
জান আচাকজাই জানিয়েছেন, হামলায় অক্ষত রয়েছেন জেইউআই-এফ নেতা মাওলানা আবদুল ওয়াসায়। তিনি পিবি-৩ থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
প্রাদেশিক তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, সন্ত্রাসীরা তাদের উদ্দেশ্যে সফল হবে না এবং সন্ত্রাস নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত আমাদের লড়াই চলতে থাকবে।
এর আগে একই দিনে বেলোচিস্তানের রাজধানী কোয়েটা থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে পিশিন অঞ্চলে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তাতে অন্তত ১৫ জন নিহত ও ৩০ জনেরও বেশি আহত হয়। পিশিনের এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর অফিসের বাইরে ওই বোমা হামলার ঘটনা ঘটে।
পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি)। এরই মধ্যে শেষ হয়েছে প্রার্থীদের প্রচারণা। কিন্তু নির্বাচনকে ঘিরে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে। তারই মধ্যে ভয়াবহ দুটি বোমা হামলার ঘটনা ঘটলো। এসব ঘটনায় ভোটারদের মধ্যে বেশ আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এদিকে, নির্বাচনকে সামনে রেখে কারাগার থেকে ভোটারদের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান। নিজেদের অধিকার রক্ষার পাশাপাশি পোলিং স্টেশনগুলো পাহারা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে, সবশেষ বক্তব্যে পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী বিলওয়াল ভুট্টো ভোট জালিয়াতির বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। নিজ আসনে দেওয়া বক্তব্যে নওয়াজ শরিফকে ইঙ্গিত করে বিলওয়াল বলেন, চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় এলে তার (নওয়াজের) সময়কাল হবে সংক্ষিপ্ত।
পিপলস পার্টির এই নেতা স্পষ্টভাবে বলেন, শরিফ যদি চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত হন, তাহলে ছয় মাসের মধ্যে তাকে অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে হবে। তৈরি হবে অস্থিতিশীলতা।