অভিযোগ ও অনিয়মের নানা অভিযোগের মধ্যেই পাকিস্তানে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হচ্ছে। সবচেয়ে বড় অভিযোগ ফলাফল ঘোষণার সময় নিয়ে। এদিকে এখন পর্যন্ত প্রকাশিত তথ্যে দেখা যাচ্ছে তিন দলের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছে।
এখন পর্যন্ত ১০৬টি আসনের মধ্যে ইমরান খান সমর্থিত স্বতন্ত্রপ্রার্থীরা ৪৭টিতে জয় পেয়েছেন। অন্যদিকে ২৪টি আসন নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের পিপলস পার্টি। আর নওয়াজ শরিফের দল ১৮টি আসন নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই মনে করছেন এবারের নির্বাচনে কেউ সরকার গঠনের জন্য একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। তাই জোট সরকার নিয়ে নানা জল্পনা ছড়াচ্ছে।
তেহরিক-ই-ইনসাফের সিনিয়র নেতা গহর আলী খান পাকিস্তান পিপলস পার্টি বা নওয়াজের দলের সঙ্গে জোট গঠনের বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, দল দুইটির সঙ্গে এ ব্যাপারে আমাদের কোনো আলোচনা হয়নি। পিটিআই নিজেই ১৫০ আসনে জয় পাবে এবং কেন্দ্রে সরকার গঠন করতে সক্ষম হবে।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই পাকিস্তানি গণমাধ্যমগুলোতে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহেরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) স্বতন্ত্র প্রার্থীদের এগিয়ে থাকার খবর আসতে থাকে। অন্যদিকে, সবচেয়ে বেশি হাইলাইট পাওয়া নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) পিছিয়ে থাকার খবর আসে।
খাইবার পাখতুনখাওয়ার এনএ- ১৫ মানসেহরা আসনে ইমরান খান সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাদা গাস্তাসাপের কাছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভোটে পরাজতি হয়েছেন নওয়াজ শরিফ।
তবে লাহোরের এনএ- ১৫ (লাহোর ১৪) আসনে জয়লাভ করেছেন নওয়াজ শরিফ। এই আসনে তিনি ১ লাখ ৭১ হাজার ২৪ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত ড. ইয়াসমিন রশিদ পেয়েছেন ১ লাখ ১৫ হাজার ৪৩ ভোট।