পিপিপি এবং পিএমএল-এনের নেতারা সরকার গঠনের ক্ষেত্রে ক্ষমতা ভাগাভাগির কথা ভাবছেন। এর অংশ হিসেবে সংবিধান অনুযায়ী, আগামী পাঁচ বছরের জন্য তারা সরকার গঠন করবেন। এই পাঁচ বছরের মধ্যে আড়াই বছর পিএমএল-এন এবং আড়াই বছর পিপিপির নেতা প্রধানমন্ত্রী থাকবেন।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ জানিয়েছে, পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) এবং পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ক্ষমতা ভাগাভাগির শর্তে পাঁচ বছরের মেয়াদের অর্ধেকের জন্য তাদের দল থেকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছে।
পাকিস্তানে গত ৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৬৬ আসনের মধ্যে ২৬৫ আসনে ভোট হয়। ফলাফলে দেখা যায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সর্বোচ্চ ৯৬টি আসন পেয়েছেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭৫টি আসন পেয়েছে নওয়াজ শরীফের পিএমএল-এন। আর তৃতীয় সর্বোচ্চ ৫৪টি আসন পেয়েছে বিলাওয়াল ভু্ট্টোর পিপিপি। তবে ইমরান খানের দল সর্বোচ্চ আসন পেলেও তাদের সরকার গঠনের সম্ভাবনা নেই।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে ওই দুই দলের উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের মধ্যে বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে এক যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘পাকিস্তানকে বাঁচাতে’ দুই দলই সম্মত হয়েছে।
কেন্দ্র ও প্রদেশে জোট সরকার গঠনের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের পর অর্ধেক মেয়াদের জন্য প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের ধারণাটি আলোচনা করা হয়।
২০১৩ সালে বেলুচিস্তানে পিএমএল-এন এবং ন্যাশনাল পার্টি (এনপি) দ্বারা এই ক্ষমতা ভাগাভাগি সূত্রটি তৈরি করা হয়েছিল। যখন দুটি দলের দুই মুখ্যমন্ত্রী পাঁচ বছরের মেয়াদের অর্ধেকের জন্য দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়াও পিপিপি এবং পিএমএল-এন অন্যান্য বিষয় নিয়ে বিষদ আলোচনা করেছেন বলে জানা গেছে।
লাহোরের বিলাওয়াল হাউসে রোববারের বৈঠকে দুই পক্ষই সাধারণ নির্বাচনের পর দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য সহযোগিতা করতে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে।
বৈঠকে পিপিপি-পার্লামেন্টারিয়ান প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি, পিপিপি চেয়ারম্যান বিলাওয়াল-ভুট্টো জারদারি এবং পিএমএল-এন থেকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ উপস্থিত ছিলেন।