ইরানের নৌবাহিনীর কমান্ডার গত শরতে এক টিভি সম্প্রচারে ঘোষণা দেন, তার দেশ অ্যান্টার্কটিকার মালিক। ইরান দক্ষিণ মেরুতে সামরিক কর্মকাণ্ড চালাবে বলেও জানান তিনি।
সেপ্টেম্বরের শেষে ইরানের নৌবাহিনীর কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল শাহরাম ইরানি বলেন, দক্ষিণ মেরুতে আমাদের সম্পত্তির অধিকার আছে। সেখানে আমাদের পতাকা উড়িয়ে সামরিক ও বৈজ্ঞানিক কাজ করার পরিকল্পনা আছে।
ওয়াশিংটনভিত্তিক মিডল ইস্ট মিডিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এমইএমআরআই) প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ফক্স নিউজ ডিজিটাল মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের কাছে জানতে চায়, সম্প্রতি কাতারে ইরানের যে ৬ বিলিয়ন ডলারের তহবিলের ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে, তা অ্যান্টার্কটিকায় ঘাঁটি তৈরিতে ব্যবহৃত হতে পারে কি না।
জবাবে মুখপাত্র বলেন, না, কাতারে থাকা ইরানের তহবিল সম্ভবত অ্যান্টার্কটিকায় কোনো কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত হবে না। তিনি বলেন, এ তহবিলের অর্থ শুধুমাত্র মানবিক পণ্য কেনার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। এসব পণ্য হলো- খাদ্য, ওষুধ, চিকিৎসা ও কৃষি পণ্য।
টার্গেট তেহরান-বইয়ের লেখক, জেরুজালেম পোস্টের জ্যেষ্ঠ সামরিক ও গোয়েন্দা বিশ্লেষক ইয়োনাহ জেরেমি বব বলেন, অ্যান্টার্কটিকায় সামরিক উপস্থিতি এবং প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করার যে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ইরানের রয়েছে, তা শুধু বহুপাক্ষিক চুক্তি লঙ্ঘনই করবে না, সারা বিশ্বে তাদের আগ্রাসনের ধারা অব্যাহত রাখবে।