• শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৭ অপরাহ্ন

যেসব শর্তে হতে পারে হামাস-ইসরাইল চুক্তি

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
ফাইল ছবি

গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি এবং বন্দী বিনিময় চুক্তি নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। প্যারিস আলোচনায় অংশগ্রহণ শেষে ইসরাইলি প্রতিনিধিদল ইতিবাচক ইঙ্গিত নিয়েই ফিরে গেছে। এখন সম্ভাব্য চুক্তিটি গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিন প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের কাছে পাঠানো হবে। তারা অনুমোদন করলে তা কার্যকর করা হতে পারে। তবে চুক্তিটি ১১ মে রোজা শুরু হওয়ার আগে কার্যকর হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্যারিসে ইসরাইল, যুক্তরাষ্ট্র, মিসর এবং কাতারের প্রতিনিধিদলের সদস্যরা অংশ নেয়।

ইসরাইলের এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, এখনো চুক্তি হয়নি। তবে হামাস তাদের কিছু দাবি থেকে সরে এসেছে। তবে চুক্তি হতে আরো অনেক কিছু করতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের এক সিনিয়র কর্মকর্তা এক্সিয়স নিউজ সাইটকে বলেছেন, প্যারিসে কিছু অগ্রগতি হয়েছে। এখন কাতার ও মিসর হামাসকে রাজি করাতে পারে কিনা তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, চুক্তির প্রথম ধাপটি হবে ছয় সপ্তাহের অস্ত্রবিরতি। এ সময় গাজায় আটক প্রায় ৪০ জন বন্দীকে মুক্তি দেয়া হবে। এদের মধ্যে থাকবে নারী, শিশু, নারী সৈন্য, বয়স্ক ও অসুস্থ লোকজন। আর ইসরাইল ২০০-৩০০ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেবে।

তবে হামাস আগে গাজা থেকে পূর্ণ ইসরাইলি প্রত্যাহারের যে দাবি জানিয়েছিল, তা পূরণ করা হচ্ছে না। তবে গাজার অনেক এলাকা থেকে ইসরাইলি বাহিনী প্রত্যাহার করা হতে পারে বলে আভাস পাওয়া গেছে। তাছাড়া উত্তর গাজা থেকে সরে যেতে বাধ্য হওয়া ফিলিস্তিনিদের তাদের বাড়িঘরে ফেরার বিষয়টিও চুক্তিতে পুরোপুরি মীমাংসা হয়নি।

তবে চুক্তি হলে, সবাই ফিরতে না পারলেও অনেকেই ফিরতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওই এলাকাটিকে ইসরাইল এখনো বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। তাছাড়া গাজার পুনর্গঠন নিয়েও মতৈক্য হয়নি বলে জানা গেছে।
তাছাড়া হামাস চেয়েছিল স্থায়ী যুদ্ধবিরতি। এখন হতে পারে ছয় সপ্তাহের অস্ত্রবিরতি।

গত ৭ অক্টোবর হামাসের অপহরণ করা লোকদের মধ্যে এখনো তাদের হাতে ১৩০ জন রয়ে গেছে। তবে তাদের সবাই জীবিত অবস্থায় নেই। গত নভেম্বরে যুদ্ধবিরতির সময় হামাস ১০৫ বেসামরিক লোককে মুক্তি দিয়েছিল।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ