রাজধানীর মিন্টো রোডে শুক্রবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে প্রেস ব্রিফিংয়ে বক্তব্য দেন কমিশনার হাবিবুর রহমান। ছবি : সংগৃহীত
ঈদুল আজহা সামনে রেখে অনেকেই যেখানে সেখানে ফাঁকা জায়গা পেলে সেখানে গরুর হাট বসিয়ে থাকে। এ ব্যাপারে এবার কঠোর থাকবে পুলিশ। রাজধানীর যেখানে সেখানে ফাঁকা জায়গায় অননুমোদিত পশুর হাট বসালে জব্দ করা হবে গরু। পুলিশের প্রতি এমন কঠোর নির্দেশনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।
আজ শুক্রবার (৭ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ঈদুল আজহা উপলক্ষে পশুর হাটে ঢাকা মহানগর পুলিশের নেওয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা তুলে ধরতে গিয়ে এ কথা জানান কমিশনার হাবিবুর রহমান।
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘যেখানে সেখানে ফাঁকা জায়গায় হাট বসানোর অপতৎপরতা কঠোরভাবে রোধ করা হবে। এ ধরনের কাজ যারা করবে, তাদের আটকসহ গরু জব্দ করব।’
হাবিবুর রহমান বলেন, পশুর হাটের সন্নিহিত এলাকায় যাতে যানজটের সমস্যা না হয়, সেজন্য হাটের বাইরে রাস্তায় পশু নিয়ে বসা যাবে না।
ঢাকার ভেতরে পশুর হাট ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তায় যারা (স্বেচ্ছাসেবী, হাট ইজারাদার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী) কাজ করবেন, তাদের সমন্বয় থাকবে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার। তিনি বলেন, পশুর হাটে অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টির ব্যাপারে ডিবির টিম সজাগ থাকবে।
জাল টাকা শনাক্তের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে তাদের কথা হয়েছে। জাল টাকা শনাক্তকরণ মেশিন পশুর হাটে রাখার ব্যবস্থা করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
প্রতি বছরেই গরু বিক্রেতা বা পাইকারের টাকা খোয়া যাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে ডিএমপি কমিশনার বলেন, যারা গরু কেনাবেচা করবেন, তাদের নিরাপত্তার জন্য গোয়েন্দা পুলিশ থাকবে। পাশাপাশি যারা ঢাকার বাইরে থেকে ট্রাকে গরু আনবেন, তাদের হাইওয়ে পুলিশ, নৌপথে যারা গরু আনবেন, তাদের জন্য নৌ পুলিশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেবে। এ ছাড়া পশুর হাটগুলোতে ড্রোন পেট্রোলিং থাকবে।
পশুর হাটগুলোতে ইজারাদাররা নির্ধারিত হারের অতিরিক্ত হাশিল যাতে আদায় না করেন, সে ব্যাপারেও পুলিশ সজাগ থাকবে বলে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, এক হাটের পশু অন্য হাটে নেওয়ার চেষ্টা করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঢাকার বাইরে থেকে ব্যবসায়ীরা যে গাড়িতে কোরবানির পশু আনবেন, তার সামনে নির্দিষ্ট হাটের নাম লিখে ব্যানার টানাবেন।
কোরবানির পশুর হাটকে কেন্দ্র করে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় ঢাকাবাসীর জন্য। ডিএমপি কমিশনার বলেন, পশুর হাটকে কেন্দ্র করে যেন যানজট সৃষ্টি না হয়, সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। ঘরমুখো মানুষ যারা যাতায়াত করবেন, তারা যেন নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারেন। হাটের বাইরে কোনোভাবেই রাস্তায় পশু নিয়ে বসা যাবে না।
পশুর হাটের পাশাপাশি বেশ কয়েক বছর ধরে অনলাইনে পশু কিনছেন অনেক ক্রেতা। তাদের উদ্দেশে ডিএমপি কমিশনার বলেন, পুলিশের সাইবার টিম অনলাইনের পশুর হাট মনিটরিং করবে। পাশাপাশি ক্রেতারাও অনলাইনে সতর্কতার সঙ্গে জেনে-বুঝে পশু কিনবেন।