মধ্যপ্রাচ্যে সর্বাত্মক একটি যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেই হুঁশিয়ারিকে উপেক্ষা করে লেবাননে স্থল আগ্রাসন চালানোর ইঙ্গিত দিয়েছে ইসরাইল। তারা বলেছে, যোদ্ধা গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে সম্ভাব্য স্থল অভিযান চালাতে তাদের সেনাদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। ইসরাইলের সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারজি হ্যালেভি বলেছেন, লেবাননে হামলা চালাচ্ছে একটি ট্যাংক ব্রিগেড।
তাদেরকে লেবাননের ভিতরে প্রবেশ করে সম্ভাব্য অভিযান চালাতে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। গত তিন দিনে লেবাননে হিজবুল্লাহর কমপক্ষে ২০০০ টার্গেটে হামলা করেছে তারা। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন যে, যতক্ষণ পর্যন্ত উত্তরের সীমান্তে সংঘর্ষের ফলে স্থানীয় অধিবাসীরা নিরাপদে বাড়ি ফিরতে না পারবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান বন্ধ হবে না। তেল আবিবের বাইরে ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সদর দফতরে হিজবুল্লাহ হামলা চালানোর পর এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
ইসরাইলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা মনে করে লেবাননে ইসরাইলের স্থল অভিযান খুব শিগগিরই হবে না। সাংবাদিকদের এমনটা জানিয়েছেন পেন্টাগনের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি সাব্রিনা সিং। তবে মধ্যপ্রাচ্যে সার্বিক এক যুদ্ধের বিষয়ে সতর্ক করেছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। তিনি একটি নিউজ চ্যানেলকে বলেছেন, সর্বাত্মক একটি যুদ্ধ শুরু হওয়ার আশঙ্কা আছে। এমন অবস্থায় বুধবার যৌথ এক বিবৃতিতে ইসরাইল-লেবানন সীমান্তে অবিলম্বে ২১ দিনের অস্ত্রবিরতির আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি, সৌদি আরব, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও তাদের মিত্র কিছু দেশ।
লেবাননে অবিলম্বে অস্ত্রবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টনিও গুতেরাঁ। অন্যদিকে লেবাননে ইসরাইলি অভিযানের কড়া নিন্দা জানিয়েছে হিজবুল্লাহর প্রধান সমর্থক ইরান। তারা সতর্ক করেছে যে, এর ফলে পুরো মধ্যপ্রাচ্য পুরো মাত্রায় বিপর্যয়ের মুখে আছে। তারা আরও সতর্ক করে বলেছে, ইসরাইল যদি আক্রমণ অব্যাহত রাখে, উত্তেজনা বাড়ায় তাহলে সার্বিকভাবে লেবাননকে সহযোগিতা করবে তেহরান।