ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী। মনোবিদ তথাগত চ্যাটার্জির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি।
২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে চুমুর ছবি পোস্ট করে প্রেমিককে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন এই অভিনেত্রী।
একই বছরের শেষের দিকে গুঞ্জন উঠেছিল, ভেঙে গেছে তথাগত-ঋতাভরীর প্রেম। যদিও বিচ্ছেদ নিয়ে টুঁ-শব্দটি করেননি নায়িকা!
নেটিজেনদের অনেকের দাবি, গোপনে বিয়ের পর্ব সেরেছেন ঋতাভরী-তথাগত। তবে এ বিষয়ে আর কথা বলতে দেখা যায়নি এই নায়িকাকে। দীর্ঘ সময় পর প্রেম-বিয়ে-বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন ঋতাভরী।
নতুন সিনেমার প্রচার উপলক্ষে ভারতীয় একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন ঋতাভরী। এসময় তথাগতর সঙ্গে প্রেম ভাঙার খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন তিনি। পাশাপাশি নতুন প্রেমের সম্পর্কে জড়ানোর কথাও জানান এই অভিনেত্রী।
ঋতাভরী চক্রবর্তী বলেন, সেই ডাক্তারবাবুর (তথাগত) সঙ্গে বিয়েটা করছি না। একটা প্রেম আছে জীবনে। তবে এই মুহূর্তে সেটা নিয়ে কথা বলার মতো জায়গায় পৌঁছাইনি। সময় হলে তো আপনারা জানতেই পারবেন।
তিনি বলেন, প্রেমের প্রতি আমার অগাধ বিশ্বাস। প্রেমের ক্ষেত্রে আমি ওই সারমেয়র মতো, যে লাথি খেয়েও আবার পেছন পেছন হাঁটে। মজা করছি! প্রেম ভেঙে গেলেও বন্ধুত্ব থাকে। তথাগতের সঙ্গে আমার এখনো বন্ধুত্ব রয়েছে। অসুস্থ হলে কিন্তু ও এখনো আমার খোঁজ নেয়।
ঋতাভরীর কাছে জানতে চাওয়া হয়, অভিনেতাদের কি বিয়ে করা উচিত? এ প্রশ্নের উত্তরে তথাগতর সঙ্গে প্রেম ভাঙার কারণ খানিকটা ব্যাখ্যা করেন তিনি।
এ অভিনেত্রী বলেন, কী করে বলি! শাহরুখ খান আছেন। কিন্তু তিনি তো একটাই। তবে ক্যারিয়ার ত্যাগ করে কখনো বিয়ে করা উচিত নয়। আমি তো দেখেছি, যার জন্য মানুষ কাজ ছেড়ে দিল, তাকেই শেষে ভুলে গেল। এই রূপ-যৌবন কত দিন থাকে! এজন্যই আমি এখনো বিয়ে করিনি। ভুল মানুষকে বিয়ে করতে চাই না।
ঋতাভরী আরো বলেন, ঠিক সময় সংসার করতে চাই ঠিকই। কিন্তু মেয়েদের জন্য কোনটা ঠিক সময়, জানি না। বিয়ের বয়সটা কী, তা-ও জানি না।
‘ওগো বধূ সুন্দরী’ ধারাবাহিকের মাধ্যমে টেলিভিশনে আত্মপ্রকাশ করেন ঋতাভরী। ২০১১ সালে ‘তোমার সঙ্গে প্রাণের খেলা’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় পা রাখেন। যদিও চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায়নি। ২০১২ সালে মুক্তি পায় তার অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘তবু বসন্ত’। তার অনান্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে ‘চতুষ্কোণ’, ‘বারুদ’, ‘পরী’, ‘শেষ থেকে শুরু’ প্রভৃতি।