তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধ্॥
রাজশাহীর তানোরে চলতি শিক্ষাবর্ষে বিল্লী স্কুল এ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষায় ভূল প্রশ্ন পত্রে পরীক্ষা গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শত শত শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবনে চরম অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। অথচ দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও অভিযুক্ত কেন্দ্র সচিব ও বিল্লী স্কুল এ্যান্ড কলেজ অধ্যক্ষ জামিলুর রহমানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। ফলে জামিলুরের খুঁটির জোর কোথায় সেটি নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। একই অপরাধে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা থেকে শুরু করে কেন্দ্র সচিবদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলেও রহস্যজনক কারণে জামিলুর এখানো অধরা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, মাদারীপুর জেলার কালকিনি চলতি বছরে এইচএসসি পরীক্ষায় বাংলা প্রথম পত্র ‘খ’ সেটের পরিবর্তে ‘ক” সেটে পরীক্ষা নেয়ার অপরাধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও কেন্দ্র সচিবসহ ৪ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। সেই সঙ্গে দায়িত্ব অবহেলার কারণে কালকিনি উপজেলা (ভারপ্রাপ্ত) নির্বাহী কর্মকর্তা প্রমথ রঞ্জন ঘটককে পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে অপর তিন জন কেন্দ্র সচিব হাসানুল সিরাজী, জাকিয়া সুলতানা ও মমতাজ বেগমকে ৭ দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
অথচ তানোরে চলতি এসএসসি পরীক্ষায় বিল্লী স্কুল এ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে গত ২৬ ফেব্ররুয়ারী সোমবার জীব বিজ্ঞান পরীক্ষায় ‘ক’ সেট প্রশ্ন পত্রের পরিবর্তে ‘খ’ সেট প্রশ্ন পত্রে লিখিত পরীক্ষা নেয়া হয় বলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছে। জীব বিজ্ঞানে মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে লিখিত ৫০ নম্বর, সৃজনশীল ২৫ ও প্যট্ট্রিক্যাল ২৫ নম্বর রয়েছে। কিšত্ত রহস্যজনক কারণে এখানো কেন্দ্র সচিব জামিলুর রহমানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আনোয়ারুল প্রামানিক বলেন, এবিষয়ে তারা অবগত হয়েছেন তবে পরীক্ষার্থীরা যেনো ক্ষতির মূখে না পড়ে সেই বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আগামী দু’একদিনের মধ্যে কেন্দ্র সচিব জামিলুর রহমানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা আপনারা সেটা জানতে পারবেন। তবে অভিযুক্ত কেন্দ্র সচিবের বিরুদ্ধে এখানো কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এব্যাপারে জানতে চাইলে বিল্লী স্কুল এ্যান্ড কলেজ অধ্যক্ষ ও কেন্দ্র সচিব জামিলুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এটা গুজব মাত্র। এব্যাপারে তানোর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম বলেন, তিনি লোকমূখে এমন কথা শোনেছেন কোনো লিখিত অভিযোগ পাননি, তবে এবিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান। এব্যাপারে তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাঃ শওকাত আলী বলেন, তিনি কোনো লিখিত অভিযোগ পাননি তবে পরীক্ষায় ফল বিপর্যয় হলে দায়িদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।