রংপুর অফিস॥
রংপুরের আইনজীবি রথীস চন্দ্র ভৌমিক হত্যাকান্ডে প্রধান পরিকল্পনাকারী কামরুল ইসলামের স্বীকারোক্তিমূলক দীর্ঘ জবানবন্দী গ্রহণ শেষে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরিফা ইয়াসমিন মুক্তা তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আইনজীবি রথীশ চন্দ্র বাবু সোনা হত্যা মামলার মুল পরিকল্পনাকারী তার স্ত্রী দীপা ভৌমিকের প্রেমিক কামরুল ইসলামের ১০ দিনের রিমান্ড শেষ হওয়ার আগে ৮ম দিনে বৃহস্পতিবার রাত ১২ টা ৩০ মিনিটে অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দী প্রদান করেছেন।
আদালত সুত্রে জানা গেছে, মূল পরিকল্পনাকারী কামরুল ইসলাম ১০ দিনের রিমান্ড শেষ হওয়ার আগেই আদালতে স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি প্রদান করে।
উল্লেখ্য, গত ২৯ মার্চ স্ত্রীর পরকিয়ার জেরে খুন হন পাবলিক প্রসিকিউটর রথীস চন্দ্র ভৌমিক। নিখোজ হওয়ার নাটক সাজিয়ে ঘটনার মোড় ঘোরাতে চেয়েছিলেন হত্যাকারীরা। পরে স্ত্রীর স্বীকারোক্তিতে ৪ মার্চ তাজহাট মোল্লাপাড়া এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবন থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
জাপানী নাগরিক হোসি কুনিও এবং মাজারের খাদেম রহমত আলী হত্যাকান্ডের প্রধান আইনজীবিও ছিলেন রথীস চন্দ্র ভৌমিক। খাদেম হত্যাকান্ড বিচারিক রায়ের পর এ ঘটনাটি মহাপরিকল্পনায় ঘটানো হয়েছে বলে জানাগেছে।