চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি॥
দীর্ঘদিন ধরে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বরাদ্দ দেয়া কোটা সংরক্ষনের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধাগণ ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড পরিষদ। ৬ দফা দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে জেলার মুক্তিযোদ্ধাগণ মুক্তিযোদ্ধা সন্তানরা ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন করে। এসময় মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা সংরক্ষনের জোর দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডের আহবায়ক আলহাজ্ব রুহুল আমিন, মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. আব্দুস সামাদ, মোস্তাক আহমেদ, তরিকুল আলম, মোঃ আলফাজসহ অন্যরা।দাবিগুলো হলো, কোটা সংরক্ষনের নামে হত্যার গুজব ছড়িয়ে ইস্কানী দিয়ে দেশে অরজাকতা, নাশকতা, নৈরাজ্য ও সন্ত্রাস সৃষ্টিকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। জামায়াত-শিবির, যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতা বিরোধী ব্যক্তি ও তাদের দলের সন্তানদের চাকুরীতে নিয়োগ দেয়া বন্ধ করতে হবে। জামায়াত-শিবির ও স্বাধীনতা বিরোধী যারা, সরকারী চাকুরিতে বহাল থেকে দেশের উন্নয়ন ব্যহত করছে এবং মুক্তিযুদ্ধ ও সরকার বিরোধী নানা চক্রে লিপ্ত রয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে চাকুরী থেকে বরখাস্ত করতে হবে। যুদ্ধাপরাধীদের সকল স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করতে হবে। ২০১৩ খেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত যারা পুড়িয়ে, পিটিয়ে, কুপিয়ে শ্রমিক কর্মচারী পেশাজীবী মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ, বিজিবি, ছাত্র-যুবক, শিশু-নারীসহ অসংখ্য মানুষ হত্যা করেছে এবং আগুন সন্ত্রাস সৃষ্টি করে বেসরকারী ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে, বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান ক্ষুন্নকারী এবং মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে কটাক্ষকারীদের বিরুদ্ধে পাশ্চাত্যের ‘হলোকাস্ট বা জেনোসাইট ডিনায়েল ল’ এর আদলে আইন প্রণয়ন করে বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। বক্তারা মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বরাদ্দ দেয়া কোটা সংরক্ষনের দাবি জানিয়ে বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের দেয়া কোটা বাতিল বা সংশোধন করা হলে, তা হবে দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করা বীর সন্তানদের অসম্মান করা। আর এমনটা যদি হয়, তাহলে দেশের সকল মুক্তিযোদ্ধারা এক হয়ে সরকারকে কোটা সংরক্ষনের জন্য জোর দাবি জানানো হবে। শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।