বাগেরহাট প্রতিনিধি॥
বাগেরহাটে এবার তরমুজের বাম্পার ফলনে খুশি তরমুজ চাষিরা। মৌসুমের প্রথম দিকে কৃষকরা দামও পাচ্ছেন ভালো। শুধু বাগেরহাট নয়, এখানে উৎপাদিত তরমুজের প্রতুলতায় স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায়।লাভ জনক ও ক্যানসার প্রতিরোধক এই মৌসুমী ফল নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন বাগেরহাটের তরমুজ চাষিরা। কৃষি বিভাগ বলছে,আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় বাগেরহাটে এবার প্রায় ৬৩ হাজার মেট্রিক টন তরমুজ উৎপাদন হয়েছে। ফালগুনের মাঝামাঝি থেকে শুরু হয় তরমুজ চাষ মৌসুম চলতে থাকে বৈশাখের মাঝামাঝি পর্যন্ত। এবার ফলন ভালো হওয়ায় খুশি তরমুজ চাষিরা। মৌসুমের শুরুর দিকে কৃষকেরা দামটাও বেশ ভালো পাচ্ছেন । প্রকারভেদে ড্রাগন, জাগর এবং সুপার নামে ৩ ধরনের তরমুজ চাষ হয়েছে বাগেরহাটে। এর মধ্যে কালচে রংয়ের জাগর তরমুজটির স্বাদ আর রং অতুলনীয় ক্রেতার মন কে আকৃষ্ট করে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে তরমুজ যাচ্ছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের চাহিদা পুরণ করছে। কয়েক দিনের মধ্যে বাজারে আরো সরবরাহ বাড়বে এবং দামও কিছুটা কমে আসবে বলে আভাস দিয়েছেন কৃষকরা। চাষিরা বলেন, একটি গাছে একাধিক তরমুজ ধরে (ফলন হয়)। কিন্ত তরমুজ বড় করার জন্য সব ফল রাখা সম্ভব হয় না, একটি রেখে অন্যগুলো কেটে ফেলতে হয়। ভালো ফলন পেতে প্রোয়জন নিবিড় পরিচর্যার পাশাপাশি গাছের খাদ্য হিসাবে প্রচুর পানি দিতে হয়। এক মাত্র পানির পরিচর্যার কারণে এক একটি তরমুজ ১০ কেজির বেশি ওজন হয়। কচুয়ার উপজেলার আন্দারমানিক গ্রামের তরমুজ চাষি রফিকুল বলেন, ‘এবছর দু’বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছি,আল্লাহর রহমতে ভালই ফলন হয়েছে। যদি প্রকৃতিক দূর্যোগ আর শিলাবৃষ্টি না হয় তাহলে বিগত বছরের চেয়ে এবার দ্বিগুন লাভ হবে।’ বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আফতাব উদ্দিন বলেন, আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় তরমুজের উৎপাদন ভাল হয়েছে। দিন দিন তরমুজের চাষ বাড়ছে। এবার বাগেরহাটে ১৫৬ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি তরমুজ চাষ হয়েছে কচুয়া উপজেলাতে। এবার প্রতি হেক্টরে ৪০ টন তরমুজ উৎপাদন ছাড়িয়ে গেছে।