• সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:৫৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
বিনা খরচে সম্পূর্ণ বিয়ে সথে হানিমুন ফ্রি কক্সবাজারে চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে বৈঠক মির্জা ফখরুলের একসঙ্গে কাজ করবে জামায়াত-বিএনপি নেই বিরোধ: তাহের ওপার বাংলার জনপ্রিয় শিল্পীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার অব্যাহতি পাওয়া শিক্ষানবিশ এসআইরা অবস্থান নিলো সচিবালয়ের সামনে কিছু পণ্যের ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে, এতে কোনো অসুবিধা হবে না: খাদ্য উপদেষ্টা তাহসান-রোজা মধুচন্দ্রিমায়, আছেন মালদ্বীপে লেখাপড়ার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক চর্চা ও খেলাধুলায় পারে মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে: তানভীর বিএসএফ কাঁটাতারের বেড়া দিচ্ছে কুমিল্লা সীমান্তে, সতর্ক বিজিবি ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়ার চ্যালেঞ্জ একটাই : নির্বাচন কমিশনার

তানোরে নড়িয়াল মাদরাসা শিক্ষা বিস্তারে অনন্য ভূমিকা রাখছে

আপডেটঃ : বুধবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১৮

তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি॥
রাজশাহীর তানোরের কলমা ইউপির প্রত্যন্ত পলÍী ও গ্রামীণ জনপদের অধিবাসিদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম (ছেলে-মেয়ে) বিশেষ করে মেয়েদের মধ্যে শিক্ষা বিস্তারে অনন্য ভূমিকা রেখে চলেছে নড়িয়াল দাখিল মাদরাসা। কিšত্ত পরিতাপের বিষয় মাদরাসায় এখানো সরকারি সহায়তায় কোনো একাডেমিক ভবন গড়ে উঠেনি। একটি মাত্র পাকা একতল ভবন সেটিও মাদরাসার নিজস্ব তহবিল থেকে করা হয়েছে। আর বাঁকি ঘরগুলো এখানো সেই মানধাত্তা আমলের মাটির ঘরেই রয়েছে, এসব ঘরেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া করতে বাধ্য হচ্ছে। নড়িয়াল মাদরাসার সভাপতি কামরুজ্জামান রুবেল বলেন, মাদরাসায় একটি আধূনিক একাডেমিক ভবন ও সিমানা প্রাচীর জরুরী হয়ে পড়েছে, কিšত্ত বার বার তাগাদা দেয়া স্বত্ত্বেও সরকার থেকে কোনো সহযোগীতা পাওয়া যাচ্ছে না।
জানা গেছে, বিগত ১৯৯১ সালে তানোর উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দুরের প্রত্যন্ত ও নিভৃত পল্লী নড়িয়াল গ্রামে নড়িয়াল দাখিল মাদরাসা স্থাপন করা হয় এবং ২০০০ সালে মাদরাসাটি এমপিও ভূক্তকরণ করা হয়।  মাদরাসায় মোট ১৬ জন শিক্ষক-কর্মচারি ও প্রায় ২৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে ইউনিয়ন পর্যায়ে মাদরাসাটি শিক্ষা বিস্তারে বেশ ভালো সাড়া জাগিয়েছে। এছাড়াও মাদরাসার পাবলিক পরীক্ষায় পাশের হার প্রায় শতভাগ রয়েছে। এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছেন প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী এবারো পাশের হার শতভাগ হবে বলে আশাবাদী স্কুল কর্তৃপক্ষ।  শহর বা গ্রাম বলে কোনো কথা নয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও অন্যান্য শিক্ষকের সদিচ্ছা থাকলে যে কোনো স্থানে সুন্দর পরিবেশে সৃষ্টি ও মানসম্মত শিক্ষা প্রদান করে শিক্ষাক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা রাখা যায় নড়িয়াল মাদরাসা তার দৃষ্টান্ত উদাহারণ। মাদরাসার সব থেকে বড় সুবিধা হলো শিক্ষকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণ। গ্রামীণ জনপদের ছেলে-মেয়েদের মধ্যে মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের জন্য ইতমধ্যে মাদরাসাটি ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে ও অন্যদের কাছে অনুকরনীয় বা মডেল হয়ে উঠেছে। মাদরাসার সুপার আব্দুর রহিম প্রতিদিন উপস্থিত থেকে শিক্ষক-কর্মচারি ও শিক্ষার্র্থীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করণের পাশপাশি শিক্ষকগণ ঠিকমত পাঠদান করাচ্ছেন কি না ? এবং শিক্ষার্থীরা নিয়মিত উপস্থিত থেকে মনোযোগ সহকারে শিক্ষা গ্রহণ করছেন কি না ? ইত্যাদি বিষয়ে গর্যবেক্ষন করেন, ফলে মাদরাসায় পাঠদানে ফাঁকি দেয়ার কোনো সুযোগ নাই। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের মাদরাসাগামি করতে নানা ভাবে উৎসাহ দিয়ে আসছে শিক্ষক-কর্মচারিরা। নিয়মিত বিতর্ক প্রতিযোগীতা, চিত্রাঙ্কন, খেলা-ধূলার ও বিভিন্ন জাতীয় দিবস উদযাপন করাঢ একদিকে শিক্ষার্থীরা যেমন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ অন্যদিকে সৃজনশীল ও মননশীল হিসেবে গড়ে উঠছে। শিক্ষার্থীদের মাদরাসামূখী এবং পাঠদানে মনোযোগী করতে  বিভিন্ন ভাবে উৎসাহ দেয়া হচ্ছে।
এব্যাপারে নড়িয়াল দাখিল মাদরাসার সুপার আব্দুর রহিম বলেন, এমপি মহোদয়ের কাছে বার বার অনুরোধ করার পরেও এখানো সরকারিভাবে তার মাদরাসায় কোনো একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হয়নি। তিনি বলেন, শুধু তানোর উপজেলা নয় রাজশাহী জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে নড়িয়াল মাদরাসাকে গড়ে তুলতে চান তিনি আর এজন্য তিনি সকলের সহযোগীতা কামনা করেছেন। তিনি বলেন, মাদরাসার সীমানা প্রাচীর, আধূনিক কম্পিউটার  ল্যাব ও  বিজ্ঞানাগার করা হলে নড়িয়াল মাদরাসা শিক্ষা বিস্তারে আরো বেশি অবদান রাখতে পারবে এ জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগীতা কামনা করেছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ