তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি॥
রাজশাহীর তানোরের তালন্দ ইউপির নারায়নপুর উচ্চ দ্বিতীয় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিন আলীর প্ররোচণায় শিক্ষার্থীর ওপর বর্বরতা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল সোমবার স্কুলে চত্ত্বরে এ ঘটনা ঘটেছে। এদিকে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকার সচেতন মহল, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে, উঠেছে সমালোচনার ঝড়। স্থানীয়রা এমন ছাত্র নির্যাতনের সঙ্গে সম্পৃক্তদেরও শাস্তির দাবি তুলেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ২০ এপ্রিল শুক্রবার একটি বে-সরকারি সংস্থার উদ্যোগে স্কুল চত্ত্বরে বাৎসরিক শিশু মেলা আয়োজন করা হয়। এদিন শিশু মেলায় স্কুলের ১০ম শ্রেণির ছাত্র আব্দুল্লাহ তার বন্ধুদের নিয়ে মুঠোফোনে একই স্কুলের ৭ম শ্রেণির এক ছাত্রীর ছবি তোলে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রী প্রধান শিক্ষককের কাছে অভিযোগ করেন। এদিকে প্রধান শিক্ষক এসব ছাত্রদের অভিভাবকদের স্কুলে ডেকে নিয়ে সালিশ বৈঠক বসায় অভিভাবকগণ অভিযুক্ত ছাত্রদের কানধরে ওঠবস করায়। কিšত্ত প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিন আলী অভিভাবকদের ওপর চাপ দেন তাদের প্রত্যেককে ১০০ ঘা বেত্রাঘাত করা না হলে স্কুল থেকে বের করে দেয়া হবে। প্রধান শিক্ষকের এমন কঠোর সিদ্ধান্তে অভিভাবকগণ ক্ষুব্ধ হয়ে অভিযুক্ত ছাত্রদের ওপর (বর্বর নির্যাতন) বে-ধড়ক মারপিট করে এক পর্যায়ে তারা গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়ে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক বলেন, প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিন আলী প্রায় জোর জবরদস্তি করে অভিভাবকদের ছাত্র আব্দুল্লাহ ও সজিব এবং বহিরাগত রুহুল নামের তিন জনের ওপর বেত্রাঘাত করতে বাধ্য করেছে। তিনি বলেন, এ ঘটনার পর লোকলজ্জার ভয়ে এসব ছাত্ররা স্কুলে যাতায়াত বন্ধ করে দিয়েছেন। এব্যাপারে জানতে চাইলে নারায়নপুর দ্বিতীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিন আলী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ছাত্ররা দোষ শিকার করায় অভিভাবকরা তাদের বেত্রাঘাত করেছে। এব্যাপারে জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাঃ শওকাত আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অপরাধ করলে আইন তাকে সাঁজা দিবে মারপিট করে থাকলে এটা অবশ্যই সঠিক হয়নি । আর এ ঘটনা কেউ আমাদেরকেও অবহিত করা হয়নি, এবিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ খবর নিয়ে গুরুত্বসহকারে দেখা হবে বলে জানান তিনি।