• মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩৬ পূর্বাহ্ন

দুর্নীতি দমন কমিশনের বাজেট ১১৮ কোটি টাকা

আল ইসলাম কায়েদ
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ৭ জুন, ২০১৮

২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে দুর্নীতি দমন কমিশনের জন্য আরো ১৭ কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে। ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে দুদকের জন্য বরাদ্দ ছিল ১০১ কোটি টাকা। এবার সেটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৮ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবিত বাজেটে পরিচালন খাতে ৮৯ কোটি এবং উন্নয়ন খাতে ২৯ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশকে ক্রমান্বয়ে সব ধরনের দুর্নীতি থেকে মুক্ত করা লক্ষ্যে আমরা প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। দুদকের স্বাভাবিক আইনগত কার্যক্রম চলমান রাখার পাশাপাশি গণসচেতনা বৃদ্ধি ও দুর্নীতিবিরোধী মনোভাবসম্পন্ন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ে তোলার ওপর জোর দেয়া হয়েছে।
আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, সমাজের সৎ ও স্বচ্ছ ব্যক্তিদের নিয়ে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত ক্রিয়াশীল দুর্নীতি দমন কমিটিসমূহ বিভিন্ন ধরনের প্রচারণামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে চলেছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্যে দুর্নীতিবিরোধী মনোভাব গড়ে তোলার লক্ষ্যে সারাদেশের প্রত্যন্ত এলাকার স্কুল ও মাদ্রাসাসহ সকল উপজেলার ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ‘সততা সংঘ’গঠন করে শুদ্ধাচার চর্চার প্রসার ঘটানো হচ্ছে। দুর্নীতি প্রতিরোধ কার্যক্রমে দেশের সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে আমরা গণশুনানি শুরু করেছি। ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা অফিসের কর্মকর্তা, বিশেষ করে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সাথেও সরাসরি সংযোগ স্থাপন করা হচ্ছে। দুর্নীতি দমন কমিশনে হটলাইন (১০৬) চালু করা হয়েছে যার মাধ্যমে জনসাধারণ সরাসরি বিভিন্ন অভিযোগ করতে পারছেন বলেও জানান তিনি।
মুহিত বলেন, দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণের প্রধান উপায় হচ্ছে বিভিন্ন সিদ্ধান্তে ব্যক্তির বিবেচনার ওপর নির্ভরতা কমিয়ে আনা। তাই যেখানেই সুযোগ আছে সেখানেই তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে, নানারকম আর্থিক লেনদেনে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার দুর্নীতি ব্যাপকতাকে প্রতিরোধের সুযোগ করে দেয়।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ইউনাইটেড নেশনস কনভেনশন এগিনেস্ট করাপশন (ইউএনসিএসি) এর রাষ্ট্রপক্ষ হিসেবে আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে দৃঢ়তার সঙ্গে দুর্নীতি বিরোধী অবস্থান গ্রহণ করছে। এর ফলে দুর্নীতি বা অর্থ পাচার সংক্রান্ত বিষয়ে বিভিন্ন রাষ্ট্র হতে মিউচ্যুয়াল লিগ্যাল এ্যাসিসটেন্স রিকয়েস্ট (এমএলএআর) এর মাধ্যমে বেশ কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির অর্থপাচার সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে।
Share Button


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page