আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং দলের অন্যতম মুখপাত্র ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, প্রতিবারই বাজেট ৯৫ শতাংশের বেশী বাস্তবায়িত হয়েছে কিন্তু প্রত্যেকটি বাজেটের পর ওরা এবং বিএনপি বলেছে এই বাজেট বাস্তবায়ন যোগ্য নয়, এটি উচ্চবিলাসি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই উচ্চবিলাসি গত নয়টি বাজেট তিনি বাস্তবায়ন করেছেন এবং বাজেট বাস্তবায়নের হার ইতিপূর্বেকার সরকার আর যারা সমালোচনা করে তাদের চেয়ে বহু শতাংশ বেশি গত নয়টি বাজেট আমরা বাস্তবায়ন করেছি। আর বিএনপি তো বাজেট ঘোষনার আগেই বাজেট সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে দিয়েছে।
শনিবার ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির তৃতীয় তলায় স্বাধীনতা হলে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ‘ঐতিহাসিক ৭ই জুন ও উন্নয়নের বাজেট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাজেট নিয়ে সিপিডির (সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ) মন্তব্যের সমালোচনা করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আপনারা এতো শিক্ষিত, এতো রিসার্চ করেন কিন্তু বাজেটের ভুলত্রুটি না ধরে বিকল্প একটি প্রস্তাবও কখনো তো জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারলেন না। আপনাদের কাজ হচ্ছে প্রতিবার বাজেট ঘোষণার পরে বাজেট নিয়ে সমালোচনা করা, নানারকম প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা। এ কারণে দুষ্ট লোকেরা আপনাদেরকে(সিপিডি) সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ না বলে সেন্টার ফর প্রোপাগান্ডা ডায়লগ বলে।
ডাঃ বদরুদ্দোজা চৌধুরীর “জাতীয় সরকার” গঠনের প্রস্তাবনার সমালোচনা করে ড.হাছান মাহমুদ বলেন,আগামী নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে,এর কোন ব্যতয় ঘটবে না। এসময় বদরুদ্দোজা চৌধুরীকেপরামর্শ দিয়ে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক বলেন, আপনার বয়স হয়েছে। দয়া করে আপনি অবসরে যান এবং ডাক্তার দেখান।দেশের জনগনকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করবেন না এবং বিএনপির সাথে সুর মিলিয়ে পানি ঘোলা করার চেষ্টা করবেন না।
ঐতিহাসিক ছয় দফা প্রসঙ্গে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাঙ্গালীর মনন তৈরী করার জন্য, স্বাধীনতার পথ তৈরী করার জন্য, বাঙ্গালীকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করার জন্য বঙ্গবন্ধু ছয় দফা ঘোষনা করেছিলেন। সুতরাং ছয় দফার পথ ধরেই বাঙ্গালি স্বাধীনতা অর্জন করেছিল।
৭০’এর নির্বাচন ছয় দফার ভিত্তিতেই হয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন স্বদেশে এবং কেন্দ্রে সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করলেন তখন পাকিস্থানের শাসক গোষ্টি বঙ্গবন্ধুকে ছয় দফার কয়েকটি দফা বাদ দিতে বলেছিলেন তখন বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন ছয় দফা এখন আর আওয়ামী লীগের দফা নায় এটি বাঙ্গালীর দফায় পরিনত হয়েছে। নির্বাচনে বাঙ্গালী এই ছয় দফার ভিত্তিতে তাদের রায় প্রদান করেছে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ও ২৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওমর বিন আবদাল আজিজের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, খাদ্যমন্ত্রী এ্যাড. কামরুল ইসলাম এমপি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মোরাদ, আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দারসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
Share Button