• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪২ পূর্বাহ্ন

উল্লাপাড়ায় বন বিভাগের তাগিদ ব্যর্থ লাইসেন্স ছাড়াই চলছে স’মিল গুলো

আল ইসলাম কায়েদ
আপডেটঃ : সোমবার, ২ জুলাই, ২০১৮

উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি॥
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় সরকারি বন বিভাগের লাইসেন্স ছাড়াই একের পর এক নতুন স’মিল হচ্ছে। গোটা উপজেলায় ৬০টির বেশি স’মিল লাইসেন্স ছাড়া চলছে বলে জানা যায়। স্থানীয় বন বিভাগ থেকে লাইসেন্স করতে দফায় দফায় তাগিদের পরেও স’মিল মালিকেরা তা আমলে নেয়নি বলে জানানো হয়। খোদ বন বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, এ স’মিল গুলো অবৈধ ভাবে চলছে। এর পাশাপাশি পৌর এলাকায় চালানো যাবে না এ বিধি নিষেধ না মেনেই ৭টি স’মিল চালানো হচ্ছে। নতুনকরে আরো একটি বসছে। উল্লাপাড়া উপজেলায় প্রায় ৭৫টি স’মিল আছে। এর সঠিক সংখ্যা বন বিভাগের কাছেই নেই। উপজেলার কয়ড়া, মোহনপুর, গয়হাট্টা, সিমলা, পূর্বদেলুয়া, ধামাইলকান্দি, ধরইল, হরিণচড়া, বড়হর, অলিপুর, সিরাজগঞ্জ রোড, জনতার হাট, সলংগা এলাকায় স’মিল আছে। এমন যে, বাজার এলাকা হলেই এক দুটি করে স’মিল চলছে। উপজেলা সদরের বাইরে মফস্বল এলাকায় আরো এক দুটি করে  নতুন স’মিল বসানো হচ্ছে। এগুলো লাইসেন্স ছাড়াই বসানো হচ্ছে বলে জানা যায়। বড়হর ইউনিয়নে চারটি বাজার মিলে ৯টি স’মিল চালু আছে। এদিকে পৌরসভা এলাকার মধ্যে দেড়-দু’যুগ আগে থেকেই ৭টি স’মিল চলছে। শ্রীকোলা এলাকায় নতুন আরো একটি স’মিল বসানো হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকার বেশ কয়েকজন স’মিল মালিকের বক্তব্যে তারা জানেন যে, স’মিল চালানোয় বন বিভাগ থেকে লাইসেন্স অবশ্যই করতে হয়। এদের সবারই একই ধরনের বক্তব্যে অনিহাতেই তারা লাইসেন্স করেন নাই। স্থানীয় বন বিভাগ থেকে মাঝে মধ্যে অতিতে তাগিদ দেয়া হলেও করবেন জানিয়ে তা আর করেননি। একজন স’মিল মালিক মনিরুল ইসলাম পৌর এলাকায় নতুন স’মিল বসাচ্ছেন। তিনি জানেন না পৌর এলাকায় স’মিল বসানো যাবে না। এছাড়া তার পরিচালনায় অপর দুটি স’মিল বিষয়ে বলেন, একটি ভাড়া নিয়ে চালাচ্ছেন। এর লাইসেন্স নেই।
উপজেলা বন কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, তার জানা মতে বিগত সময়ে হাতে গোনা ৫ থেকে ৭টি স’মিল মালিক প্রথম মিল বসানো কালে লাইসেন্স করলেও পরে তা আর নবায়ন করেননি। তার বিভাগ থেকে লাইসেন্স করার বিষয়ে বারবার স’মিল মালিকদের তাগিদ দেয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি গত দেড় বছর সময়কালে উপজেলা প্রশাসন থেকেও লাইসেন্স করার বিষয়ে স’মিল মালিকদের লিখিত ভাবে অবহিত করা হয়। এর পরেও একজন স’মিল মালিক লাইসেন্স এমনকি আবেদনই করেননি। তিনি আরো জানান, পৌরসভা এলাকায় কোন অবস্থাতেই কোন স’মিল চালানো যাবে না। সেখানেই লাইসেন্স তো নেই, এর উপর বিধি নিষেধ অমান্য করেই স’মিল গুলো চালানো হচ্ছে। তিনি পৌর এলাকার স’মিল গুলো বন্ধের বিষয়ে উপর মহলের সঙ্গে আবারোও যোগাযোগ করবেন বলে জানান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আরিফুজ্জামান জানান, বন বিভাগ থেকে এসব বিষয়ে তিনি জেনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।

Share Button


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page