• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৫:০৫ অপরাহ্ন

পাবনায় শিশু শিক্ষার্থী ধর্ষিত সংজ্ঞাহীন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি

আল ইসলাম কায়েদ
আপডেটঃ : বুধবার, ৪ জুলাই, ২০১৮

পাবনা প্রতিনিধি॥
পাবনায় ৭ বছরের ২য় শ্রেনীর এক শিশুকে ধর্ষন করেছে প্রতিবেশী এক যুবক। শিশুটিকে আশংকাজনক অবস্থায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে জেলার চাটমোহর উপজোর মুলগ্রাম ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ঘটারপর থেকেই ধর্ষক ওই গ্রামের হৃদয় সরকারের ছেলে সবুজ সরকার পলাতক রয়েছে। শিশুটি ভবানীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেনীর ছাত্রী।
চাটমোহর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তাপস কুমার পাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে ভবানীপুর গ্রামের উত্তম সরকারের মেয়ে পূজা সরকার (৭) বাড়ির পাশের একটি ঘরে একা টেলিভিশন দেখছিল। এ সময় সুযোগ বুঝে প্রতিবেশী সবুজ জোরপূর্বক তাকে ধর্ষন করে। শিশুটির আর্ত চিৎকারে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে। দ্রুত পরিবারের লোকজন তাকে প্রথমে আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। এ সময় অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরনে শিশুটি সংজ্ঞাহীন হয়ে পরে। বর্তমানে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে। খবর পাওয়ার পর পরই ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে গিয়ে শিশুটির খোজ খবর নেই পুলিশ। ধর্ষককে আটকের জন্যে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
শিশুটির মা মুক্তি সরকার বলেন, আমার জীবনে এ ধরনের পাশবিক নির্যাতন দেখি নাই। যে ব্যাক্তি আমার মেয়ের এই অবস্থা করেছে তার আমি দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই বলেই কান্না শুরু করেন। শিশুটির বাবা উত্তম সরকার কোন কথাই বলতে পারে নাই। তিনি মাথায় হাত দিয়ে হাসপাতালের করিডোরে বসে শুধু চোখের পানি ঝড়াচ্ছেন।
প্রতিবেশী কয়েকজন ক্ষোভের সাথে বলেন, সারা দেশে মাদকের মতো ভয়াবহ ভাবে বাড়ছে এই ধর্ষনের ঘটনা। অধিকাংশ ধর্ষন মামলার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি না হওয়ার কারনেই একের পর এক এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয় প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তারা ।
শিশুটির চাচা গৌতম সরকার বলেন, ভাতিজিকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছি, কি হবে বুঝতে পারছি না। মেয়েটি এখনো অজ্ঞান হয়ে পরে আছে হাসপাতালের বিছানায়। শুনেছি অপারেশন করে কয়েকটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। আমরা দিনমজুর মানুষ, সুষ্ঠু বিচার পাব কিনা সৃষ্টিকর্তাই ভাল জানেন। তবে এমন পাশবিক নির্যাতনের অবশ্যই বিচার হওয়া দরকার বলে তিনি মন্তব্য করেন। আমার ভাতিজির মতো অন্য কোন মেয়ের জীবনে যেন এমন সর্বনাসা ঘটনা না ঘটে, প্রশাসনের অবশ্যই সেদিকে খেয়াল রাখা দরকার বলে মনে করেন তিনি।
ইন্টার্ন চিকিৎসক মনিরুল ইসলাম রুবেল বলেন, মেয়েটি দুপুর দুই টার দিকে হাসপাতালে ভর্তির পর পরই আমাদের সিনিয়র চিকিৎসকদের একটি টীম গঠন করে অপারেশন করা হয়। সফল ভাবে অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে। মেয়েটি অবচেতন অবস্থায় আছে, পর্যবেক্ষনে রাখা হয়েছে। আশা করছি ঠিক হয়ে যাবে।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের ওয়ান ষ্টপ ক্রাইসিস সেলের আইন কর্মকর্তা এড: শামিমা নাসরিন সোনিয়া বলেন, মেয়েটি ভর্তির পর থেকেই আমরা তার পাশে আছি। আর্থিকসহ আইনগত সকল সহায়তা প্রদান করা হবে বলে জানান তিনি।

Share Button


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page