• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪৮ পূর্বাহ্ন

নিয়ন্ত্রণ মজুদদার ও পাচারকারীদের হাতে পানির দরে চামড়া সরকার নির্ধারিত দামের তোয়াক্কা করেননি ব্যবসায়ীরা

আল ইসলাম কায়েদ
আপডেটঃ : বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

সারা দেশ থেকে সংগৃহীত কোরবানির চামড়া এখন মজুদদার ও পাচারকারীদের নিয়ন্ত্রণে। আর এ কারণে ওই চামড়া পাচার হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এদিকে চামড়া বেচা-কেনায় সরকার নির্ধারিত দাম অনুসরণ করা হয়নি।

চামড়ার বর্গফুট প্রতি দাম ৬০ থেকে ৭০ ভাগ কম দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে গতবারের মতো এবারও কোরবানি সামনে রেখে বাজারে লবণের দাম বছরের অন্য সময়ের তুলনায় ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।

এতে সংগৃহীত চামড়ার লবণজাতে অতিরিক্ত খরচ হবে। এছাড়া চামড়া কেনাবেচা থেকে হাতবদলের বিভিন্ন পর্যায়ে বিস্তর কারসাজিরও অভিযোগ ওঠেছে। চামড়ার নিয়মিত ব্যবসায়ীরা ছিলেন নগদ অর্থের সংকটে।

এতে তারা প্রত্যাশিত পরিমাণে চামড়া কিনতে পারেননি। এসব কারণে গতবারের চেয়ে এবার কোরবানির চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৩০ শতাংশ কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশি্লষ্টরা।

খঁোজ নিয়ে জানা যায়, কোরবানির দিনই মূলত ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট, নাটোর ও সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলার প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে মাঠপর্যায়ের বেশিরভাগ চামড়া পানির দরে কিনে নেন।

এ সিন্ডিকেটে যোগ দিয়েছেন অনেক ট্যানারি মালিকও। কয়েক জায়গায় ছাগলের চামড়া বিনা পয়সায় দিয়ে দেয়ার খবর পাওয়া গেছে। সংশি্লষ্টরা জানান, সাধারণত ট্যানারি মালিকরা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে আড়ত ও মোকাম থেকে লবণযুক্ত চামড়া কেনেন।

কিন্তু এবার ঈদের দিনই তারা দালাল-ফড়িয়ার মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পানির দামে চামড়া কিনে লবণজাত ও প্রক্রিয়াজাতের উদ্দেশে সরাসরি নিয়ে গেছেন সাভারের বিসিক চামড়া শিল্প নগরীতে। এখন পর্যন্ত শিল্পপল্লীতে প্রায় আড়াই লাখ পিস চামড়া ঢোকার খবর পাওয়া গেছে। এসব চামড়া ঢুকেছে বড় ২০টি ট্যানারিতে।

এদিকে কোরবানির চামড়া মজুদদার ও পাচারকারীদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ায় এবার ঢাকার পোস্তা, আমিনবাজারসহ সারা দেশের বিভিন্ন আড়ত ও মোকামগুলোয় লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী চামড়া সংগ্রহ করা যায়নি। সারা দেশে ভাঙাচোরা সড়ক ও অতিবৃষ্টির মতো প্রতিকূল পরিস্থিতি থাকায় এবার পচন ঠেকাতে চামড়াবাহী যানবাহনের অবাধ চলাচলের সুযোগ ছিল। ফলে অনেকেই কষ্ট করে চামড়া নিয়ে আর দূরের আড়তে ভিড়েননি।

নিজস্ব লোক দিয়ে যেখানে-সেখানে চামড়া সংগ্রহের ব্যবস্থা করেছে প্রভাবশালী সিন্ডিকেট। পরে ওই চামড়া অজ্ঞাত স্থানে মজুদ করে তারা। সংশি্লষ্টদের দাবি, দেশে দাম কম হওয়ায় বেশি দাম পেতে পাচারের উদ্দেশ্যেই মজুদ করা হয়েছে ওইসব চামড়া।

এবার স্থানীয়ভাবে চামড়ার কেনাবেচায় সরকার নির্ধারিত দামের তোয়াক্কা করেননি মেৌসুমি ও প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা। এতে এলাকাভেদে চামড়ার দাম কোথাও ছিল বেশি, কোথাও অনেক কম।

অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় প্রভাবশালীরা কোরবানিদাতাদের কম দামে চামড়া ছেড়ে দিতে বাধ্য করেন। কোরবানির চামড়ার কেনাবেচায়ও বিস্তর কারসাজির অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় সূত্রগুলোর মতে, প্রভাবশালী মেৌসুমি ব্যবসায়ী ও মধ্যস্বত্বভোগীরা মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে কঁাচা চামড়া থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। মাত্র ৫শ’ থেকে ৬শ’ টাকায় কোরবানিদাতাদের কাছ থেকে চামড়া কিনে তারা আড়তদারদের কাছেই বিক্রি করেছে ১২শ’ থেকে ১৫শ’ টাকা দরে।

বাসা-বাড়ি থেকে কোরবানির পশুর চামড়া আড়ত হয়ে ট্যানারি মালিকদের কাছে পঁেৌছাতে অন্তত ৫ বার হাতবদল হয়। এর মাঝে আর্থিক সুবিধা লুফে নেন দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্তরে থাকা মেৌসুমি ব্যবসায়ী ও মধ্যস্বত্বভোগীরা। ঈদের দিন দুপুরের আগ থেকেই শুরু হয়ে যায় এদের কারসাজি।

সংশি্লষ্টরা জানান, মসজিদ-মাদ্রাসার নামে এবার মাঠ পর্যায় থেকে চামড়া সংগ্রহ করেন এলাকার কিছু উঠতি যুবক। এরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অঙ্গসংগঠনের সদস্য বলে পরিচিত। এরা মসজিদের নামে চামড়া সংগ্রহ করেন বিনা পয়সায় বা নামমাত্র মূল্যে। এক্ষেত্রে তারা বিনিয়োগ না করেই পেয়ে যান চামড়া বিক্রির অর্ধেক অর্থ। বাকি অর্ধেক পান মসজিদ বা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। এতে লাভ ট্যানারি মালিকদেরও।

কারণ  এ প্রক্রিয়ায় তারা কম দামে চামড়া কিনতে পেরেছেন।

চামড়া সংগ্রহ সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হাজী মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন,  “এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩০ ভাগ চামড়া কম সংগ্রহ হবে। কারণ এবার কোরবানি কম হয়েছে। তাছাড়া ট্যানারি মালিকরা আলাদাভাবে চামড়া কেনায় সারা দেশ থেকে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে সরবরাহ  পোস্তায় আসছে না। সোমবার পর্যন্ত পোস্তায় মাত্র তিন লাখ পিস চামড়া এসেছে।’

এ প্রসঙ্গে একই সংগঠনের মহাসচিব টিপু সুলতান বলেন, Èভারতের চেয়ে বাংলাদেশে চামড়ার দাম কম হওয়ায় নানা উপায়ে অবৈধভাবে চামড়া পাচার হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’ কারণ হিসেবে তিনি বলেন, Èএ মুহূর্তে চামড়া প্রানি্তক, পাইকারি ব্যবসায়ী ও ট্যানারি মালিকদের কাছে নেই। ট্যানারি মালিকদের কাছে কোটি কোটি টাকা পাওনা হলেও ট্যানারিগুলো সাভারে স্থানান্তরসহ নানা অজুহাতে বকেয়া টাকা পরিশোধ করছেন না। এ কারণে আড়তদাররাও খুচরা ব্যবসায়ীদের টাকা দিতে পারছেন না। ফলে পোস্তায় কঁাচা চামড়া একশ’ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে কম এসেছে।’

ঢাকা জেলা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. রবিউল আলম যুগান্তরকে বলেন, এবার চামড়ার মজুদদার ও পাচারকারীদের সিন্ডিকেটের কবলে পড়েছে কোরবানির পশুর চামড়া। এর ফলে কোথাও সরকার নির্ধারিত দামের চেয়েও বেশি এবং কোথাও এর চেয়ে অনেক কম দামে চামড়া বিক্রি হয়েছে। কম দামের চামড়া আড়তে আসার আগেই মজুদদাররা কিনে নিয়েছেন।

ফলে পোস্তায় প্রত্যাশা অনুযায়ী চামড়া আসেনি। সাভারের ট্যানারিতেও নেই পর্যাপ্ত চামড়া। এছাড়া দাম নিয়ে সারাদেশের ব্যবসায়ীরা হতাশ। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ ও দেশীয় চামড়া পাচার থেকে রক্ষা করতে হলে ট্যানারি মালিকদেরই মুখ্য ভূমিকা রাখতে হবে। তাদের লবণযুক্ত চামড়ার দাম আরও বাড়াতে হবে।’

জানতে চাইলে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সভাপতি শাহীন আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বেশি দাম দিয়ে আমরা কঁাচা চামড়া কিনব। আগামী সপ্তাহ থেকে চামড়া কেনা শুরু হবে। এ নিয়ে চামড়ার বেপারিদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। আমরা চাই দেশের চামড়া যাতে দেশেই থাকে। কোনো অবস্থাতেই যেন তা ভারতে পাচার না হয়। এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। এ সময় নগদ টাকার সংকট থাকায় চামড়া কিনতে অগ্রিম অর্থ দিতে পারেননি বলেও স্বীকার করেন শাহীন আহমেদ।

অন্যদিকে মজুদদারদের সিন্ডিকেটে ট্যানারি মালিকরা ভিড়েছেন∏ এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিটিএর সাধারণ সম্পাদক মো. সাখাওয়াতউল্লাহ। তিনি বলেন,’ট্যানারি মালিকরা কঁাচা ও লবণযুক্ত দুই ধরনের চামড়াই কিনে থাকেন।

কোরবানির চামড়া মজুদদারদের নিয়ন্ত্রণে যাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, প্রতি বছর মজুদদাররাই এ চামড়া সংগ্রহ করেন। পরে তাদের সঙ্গে আলোচনা করে দাম নির্ধারণের মাধ্যমে চামড়া ট্যানারিতে নিয়ে আসা হয়।’ দাম নিয়ে অসনে্তাষ থাকলে পাচারের ভয় আছে বলে স্বীকার করে তিনি আরও বলেন, এ কারণেই অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে লবণযুক্ত চামড়ার দাম ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

বরিশাল ব্যুরো জানায়, বরিশালে এবার মেৌসুমি ক্রেতাদের দেখা মেলেনি। মূলধন সংকট ও প্রক্রিয়াকরণের ব্যয় বাড়ার কারণে আগ্রহ ছিল না ব্যবসায়ীদের। যার কারণে বরিশালে গরুর চামড়া পানির দরে বিক্রি হয়েছে। ভয়াবহ অবস্থা ছিল ছাগলের চামড়া নিয়েও। ব্যবসায়ীরা ফ্রিতেও ছাগলের চামড়া নিতে আগ্রহ দেখাননি।

বরিশাল হাইড অ্যান্ড স্কিন অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান শাহীন বলেন, এবার ২৫ জনের মধ্যে মাত্র ৯ জন ব্যবসায়ী চামড়া কিনেছেন। প্রতি বস্তা লবণের আগে ছিল ৬শ’ টাকা। এ বছর বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। এছাড়া একজন শ্রমিকের মজুরিও দ্বিগুণ হয়েছে। চামড়া ক্রয়ের পর প্রক্রিয়াজাতকরণের পর যে ব্যয় হবে সেই টাকা ট্যানারি মালিকরা দেবে না। তাই আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কায় ব্যবসায়ীরা চামড়া কিনতে আগ্রহী হননি।

চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, পানির দামে কোরবানি পশুর চামড়া বিক্রি হয়েছে। অধিকাংশ গরু-মহিষের চামড়া কেনা হয়েছে ২শ’ থেকে ৫শ’ টাকার মধ্যে। জেলার ১৪ উপজেলায় এবং নগরীর বিভিন্ন স্থানে একই চিত্র দেখা গেছে। অনেক কোরবানিদাতা তাদের জবাইকৃত গবাদিপশুর চামড়া বিক্রি করতে না পেরে মাটিতে পুঁতে ফেলতে বাধ্য হয়েছেন।

কাঁচা চামড়ার আড়তদাররা জানিয়েছেন, চট্টগ্রামে এবার ৬ লাখ কাঁচা চামড়া সংগ্রহের টার্গেট ছিল। কিন্তু সোমবার পর্যন্ত সংগ্রহ হয়েছে মাত্র আড়াই লাখ থেকে তিন লাখ চামড়া।

রাজশাহী ব্যুরো জানায়, রাজশাহী অঞ্চলে চামড়ার বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। প্রয়োজনীয় পুঁজির অভাব ছাড়াও মেৌসুমি ব্যবসায়ীদের কারণে প্রকৃত ব্যবসায়ীরা কোরবানির চামড়া বাজারে অনেকটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন।

প্রকৃত ব্যবসায়ীরা চামড়া কিনতে পারেননি।  আবার এলাকা ভিত্তিতে কোথাও চামড়ার দাম যেমন বেশি হয়েছে, তেমনি ক্রেতার অভাবে গ্রামাঞ্চলের চামড়ার বাজারে নজিরবিহীন মন্দার খবরও এসেছে।

নাটোরের আড়তগুলোতে এবার তেমন চাঞ্চল্য নেই। এখানকার দুই শতাধিক বড় ব্যবসায়ী এবার কোরবানির চামড়া কেনায় তেমন ভূমিকা নিতে পারেনি। আহমেদ হোসেন নামে নাটোরের একজন আড়তদার জানান, নাটোরের চামড়া মোকামের দুই শতাধিক ব্যবসায়ী, ঢাকার ট্যানারি মালিকদের কাছে ৬০ কোটি টাকা বকেয়া পাবেন। ট্যানারি মালিকরা পাওনা দিতে না পারায় তারাও চামড়া সংগ্রহে উত্সাহ পাননি।

খুলনা ব্যুরো জানায়, মেৌসুমে ব্যবসায়ী কর্তৃক সরাসরি ট্যানারিতে মাল দেয়া, ভারতে পাচার এবং কম মূল্যের কারণে বেকায়দায় পড়েছে খুলনার চামড়া ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি এ অবস্থা রোধে প্রশাসন ও ঊর্ধ্বতন মহলের কোনো উদ্যোগ নেই।

মাদ্রাসাসহ বড় বড় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোও ব্যবসায়ীদের এড়িয়ে ট্যানারিতে চামড়া সরাসরি বিক্রি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। খুলনার চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. আমানুল্লাহ আমান বলেন,  এবার ব্যবসায়ীরা চামড়া পেয়েছে কম। মেৌসুমি ফড়িয়ারা চামড়া বাড়ি বাড়ি গিয়ে কিনে সেগুলো সরাসরি ট্যানারি মালিক অথবা ভারতে পাচার করে দিচ্ছেন।’

সিলেট ব্যুরো জানায়, শাহজালাল চামড়া ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি মো. শাহীন মিয়া জানান, লবণের মূল্য দ্বিগুণ হওয়ায় এবার ব্যবসায়ীরা সিলেটের প্রায় ২৫ হাজার ছাগলের চামড়া সংরক্ষণ করতে পারেনি। সংরক্ষণের অভাবে এবার প্রায় ২০ হাজার ছাগলের চামড়া নষ্ট হয়েছে।

সাভার প্রতিনিধি জানান, সাভারের হেমায়েতপুরের হরিণধারায় চামড়া শিল্পনগরীতে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা নতুন চামড়ার স্তূপ তৈরি হয়েছে। তবে স্থান সংকুলন না হওয়ায় অনেকেই চামড়া নিয়ে গিয়েছেন হাজারীবাগে। এবার সাভারে এক লাখ টাকার একটি গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে মাত্র ৮শ’ টাকায়। চামড়া কিনে গত বছর লোকসান হওয়ায় এবার তারা দাম দিতে চান না।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, কোরবানির চামড়া পাচার ঠেকাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমানে্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ সতর্কতায় রয়েছে। সীমান্ত এলাকাগুলোতে টহল জোরদার করেছে বিজিবি। পাশাপাশি চামড়া বোঝাই কোনো ট্রাক সীমান্ত অভিমুখে যেতে দিচ্ছে না পুলিশ।

বেনাপোল প্রতিনিধি জানান, খুচরা ও মেৌসুমি ব্যবসায়ীরা নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে চামড়া কিনে মজুদ করে রাখছেন। তারা স্থানীয় বাজারে চামড়া না তুলে নিজস্ব কায়দায় সংরক্ষণ করছেন।

   এই চামড়া বাংলাদেশে রাখা সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে সংশি্লষ্টদের মধ্যে যথষ্টে সংশয় রয়েছে। কারণ ভারতে চামড়ার দাম অনেক বেশি। এ কারণে চোরাকারবারিরা চামড়া পাচারের চষ্টো করতে পারে।

Share Button


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page