• সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:৪১ অপরাহ্ন

স্বাস্থ্য খাতে ৪ হাজার কোটি টাকা সহায়তা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

আল ইসলাম কায়েদ
আপডেটঃ : বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

স্বাস্থ্য খাতের নতুন কর্মসূচিতে ঋণ ও অনুদান দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। ‘চতুর্থ স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচি (৪র্থ এইচএনপি)’ বাস্তবায়নে এ অর্থ ব্যয় করা হবে। এজন্য সোমবার ৫০ কোটি মার্কিন ডলার বা প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার ঋণ এবং ১ কোটি ৫০ লাখ ডলার বা প্রায় ১২০ কোটি টাকার অনুদান চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

এ কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হচ্ছে দেশের সব নাগরিকের জন্য সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণে এবং স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ নিশ্চিতকল্পে সমতাভিত্তিক ও মানসম্মত স্বাস্থ্য সেবার সুযোগ বৃদ্ধি করা। তাছাড়া কর্মসূচিটির মাধ্যমে তিনটি কম্পোনেন্টের আওতায় বিস্তৃত কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। কম্পোনেন্টগুলো হল, শাসনকার্য এবং ন্যস্ত দায়িত্ব, স্বাস্থ্য-পুষ্টি এবং জনসংখ্যা ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ এবং গুণগত স্বাস্থ্য-পুষ্টি এবং জনসংখ্যা সংক্রান্ত সেবার বিধান করা।

জানা গেছে, বিশ্বব্যাংকের দেয়া ঋণের সার্ভিস চার্জ হচ্ছে উত্তোলিত অর্থের ওপর শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ। এছাড়া ৬ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩৮ বছরে এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে। এ কর্মসূচিতে ডিসবাসমেন্ট লিংক ইন্ডিকেটর (ডিএলআই) পদ্ধতি প্রয়োগ করা হবে। এতে ১৬টি নির্দেশক রয়েছে। এসব নির্দেশক পূরণ সাপেক্ষে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থছাড় করবে বিশ্বব্যাংক। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে সোমবার চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব কাজী শফিকুল আযম এবং ঢাকা নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান। এ সময় প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান ও স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এ কর্মসূচিতে ডিজবাসমেন্ট লিংক ইন্ডিকেটর (ডিএলআই) পদ্ধতিতে বিশ্বব্যাংক অর্থছাড় করবে। আমি আত্মবিশ্বাসী যেসব নির্দেশক দেয়া হয়েছে, তা সঠিকভাবে পূরণ করেই কর্মসূচিটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্য ও পুষ্টির ক্ষেত্রে আমরা দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ার মধ্যে এগিয়ে আছি এবং থাকব।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জানানো হয়, কর্মসূচিটি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের অধীনে ২৯টি অপারেশনাল প্ল্যানের মাধ্যমে চলতি বছর থেকে ২০২২ সালের জুন মেয়াদে বাস্তবায়িত হবে। এতে মোট ব্যয় হবে ১৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে বিশ্বব্যাংকের স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ঋণ এবং গ্লোবাল ফাইনান্সিং ফ্যাসিলিটির অনুদানে এ অর্থ ব্যয় হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এমএ মান্নান বলেন, জনগণকে স্বাস্থ্য সুবিধা দেয়া আমাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব। সরকারে অব্যাহত প্রচেষ্টা এবং উন্নয়ন সহযোগীদের সহযোগিতায় চতুর্থ এই কর্মসূচি শুরু করা হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে স্বাস্থ্য খাত অনেক দূর এগিয়ে যাবে। চিমিয়াও ফান বলেন, একটি দেশকে গড়ে তুলতে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাত খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই বিশ্বব্যাংক এ দুই খাতে বিশেষভাবে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য খাতের এ কর্মসূচিতে সহায়তা দিতে পেরে বিশ্বব্যাংক খুশি। স্বাস্থ্য ও পুষ্টি খাত উন্নয়নে কর্মসূচিটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
জাহিদ মালেক বলেন,এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়ন বাস্তবায়ন হবে। কেননা এর মাধ্যমে মাতৃমৃত্যু, শিশু মৃত্যু হার আরও কমিয়ে আনা যাবে। কাজী শফিকুল আযম বলেন, স্বাস্থ্য খাত উন্নয়ন কর্মসূচিতে এখনও অর্থায়ন ঘাটতি রয়েছে। সেটি পূরণে ইতিমধ্যেই সৌদি আরবের কাছ থেকে ৩ কোটি ডলার, যা স্থানীয় মুদ্রায় প্রায় ২৪০ কোটি টাকা ঋণের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে।
Share Button


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ