আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম উর্ধ্বমুখী ধারায় রয়েছে। বুধবার আউন্সপ্রতি ১ হাজার ৩০৯ ডলার ৭৫ সেন্ট বা স্থানীয় মুদ্রায় ১ লাখ ৪ হাজার ৭৮০ টাকায় (প্রতি ডলার ৮০ টাকা ধরে) মূল্যবান ধাতুটির লেনদেন শেষ হয়। বাজার বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, ডলারের দরপতন ও সুদহার বৃদ্ধি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) নমনীয় অবস্থানের কারণে বেড়েছে স্বর্ণের দাম। খবর ব্লুমবার্গ।
এদিন নিউইয়র্কের কোমেক্সে ডিসেম্বরে সরবরাহের চুক্তিতে স্বর্ণের দাম শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। দিনশেষে পণ্যটি আউন্সপ্রতি ১ হাজার ৩০৯ ডলার ৭৫ সেন্টে লেনদেন হয়। অন্যদিকে ব্লুমবার্গ ডলার স্পট ইনডেক্স দশমিক ১ শতাংশ কমেছে।
চলতি বছর এর আগেও স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৩০০ ডলার ছাড়িয়ে গেলেও তা স্থায়ী হয়নি। দুর্বল মূল্যস্ফীতির কারণে সুদহার বৃদ্ধি নিয়ে ফেড চাপের মুখে থাকবে এমন আশায় চলতি বছর স্বর্ণের দাম ১৪ শতাংশ বেড়েছে। টেক্সাসের হিউস্টনে ঘূর্ণিঝড় হার্ভির ধ্বংসযজ্ঞের খবরে ডলারের দাম নিন্মমুখী।
এতে স্বর্ণের মতো নিরাপদ সম্পদের চাহিদা বেড়ে যায়। গত সপ্তাহে ব্যাংক অব আমেরিকার মেরিল লিঞ্চ জানায়, স্বর্ণের বাজার সঠিক পথেই আছে এবং আগামী বছরের শুরুতে পণ্যটির দাম আউন্সপ্রতি ১ হাজার ৪০০ ডলার স্পর্শ করবে। শিকাগোভিত্তিক আরজেও ফিউচারসের বাজার বিশেষজ্ঞ ফিল স্ট্রাইবল বলেন, চলতি বছরের বাকি সময়ে সুদহার বাড়াতে ফেড আরও বেশি সাবধানতা অবলম্বন করতে পারে।
গত সপ্তাহে ওয়াইয়োমিংয়ে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তাদের সম্মেলন স্বর্ণে বিনিয়োগকারীদের হতাশ করেছে। তারা আশা করেছিলেন, এ সম্মেলনে ফেডের মুদ্রানীতি সম্পর্কে আভাস পাওয়া হবে। সাধারণত নিন্ম সুদহার স্বর্ণের মতো সম্পদের বাজারের জন্য আর্শীবাদ হয়ে দেখা দেয়। তবে সম্মেলনে মুদ্রানীতিকে তেমন গুরুত্ব দেয়া হয়নি। বরং ফেড ও ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংকের পক্ষ থেকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের পরিপ্রেক্ষিতে জরুরি অবস্থার প্রণোদনা প্রত্যাহারের ব্যাপারে জোর দেয়া হয়।