বাংলাদেশ ও বিশ্ব ব্যাংকের মধ্যে আজ ৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর ডিজিটাল মনিটরিং এবং সরকারি ক্রয় ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্পে এই অর্থ ব্যয় করা হবে। বিশ্ব ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ খবর জানানো হয়।
সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানে ইলেক্ট্রনিক সরকারি ক্রয় ব্যবস্থা (ইজিপি) সম্প্রসারণে ৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের এই ডিজিটাইজিং ইমপ্লিমেন্টেশন মনিটরিং এবং পাবলিক প্রোক্রিয়র্মেন্ট প্রজেক্ট (ডিআইএমএপিপিপি) সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব কাজী শফিকুল আজম এবং বাংলাদেশ, ভূটান ও নেপাল বিষয়ক বিশ্ব ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর কিমিয়াও ফান আজ ইআরডিতে এই ঋণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
কিমিয়াও বলেন, সকল সরকারি প্রতিষ্ঠান ডিজিটালাইজেশন এবং উন্নয়ন কর্মসূচি ও প্রকল্প মনিটরে সরকারি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে এই প্রকল্প হবে একটি উদ্ভাবনী ব্যবস্থা। সাম্প্রতিক বছর গুলোতে বাংলাদেশে পাবলিক প্রোক্রিয়র্মেন্টে ব্যয়ের পরিমাণ ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি। যা বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর ৭০ শতাংশ।
বিশ্ব ব্যাংক ২০০২ সালের পর থেকে বাংলাদেশের পাবলিক প্রোক্রিয়র্মেন্ট ব্যবস্থার উন্নয়নে সহায়তা দিয়ে আসছে বিশ্ব ব্যাংক ২০১১ সালে চারটি গুরুত্বপূর্ণ প্রোক্রিয়র্মেন্টে ই-জিপি ব্যবস্থা চালু করতে সহায়তা দেয়। সম্প্রতি বার্ষিক উন্নয়ন বাজেটের প্রায় ৩৫ শতাংশ বাস্তবায়ন করা হয় ই-জিপি পদ্ধতি ব্যবহার করে। এতে সরকারি অর্থ ব্যয় দক্ষতা বৃদ্ধি ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে এবং প্রোক্রিয়র্মেন্ট সময় সাশ্রয়ে সহায়ক হয়েছে।
২০১৬ সালে ৮৩ শতাংশ চুক্তি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কার্যকর হয়েছে, ২০০৭ সালে যা হয়েছিল ১০ শতাংশ। এই প্রক্রিয়ায় বিকেন্দ্রীকরণ পর্যায়ে অপ্রয়োজনীয় দরপত্র ব্যবস্থা উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে এবং স্বচ্ছতা বেড়েছে। এখন ওয়েবসাইটে দরপত্র আহবান করা হচ্ছে। জাতীয় পর্যায়ে ই-জিপি ব্যবস্থায় সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ব্যবস্থার মাধ্যমে বার্ষিক উন্নয়ন প্রোগ্রামের কার্যকর মনিটরিংয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীন মনিটরিং ও ইভালুয়েশন ডিভিশন বাস্তবায়নে ডিআইএমএপিপি সহায়তা দেবে।
কাজী শফিকুল আজম বলেন, ডিআইএমএপিপি প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নে ইলেক্ট্রনিক প্রোক্রিয়র্মেন্ট এবং সরকারি অর্থ ব্যয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে উন্নয়ন প্রকল্প মনিটরিং ব্যবস্থাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেবে। সুদমুক্ত এই ঋণ ৩৮ বছরে পরিশোধ করতে হবে। তবে শুধুমাত্র ০.৭৫ শতাংশ সাভির্স চার্জ দিতে হবে। বাসস।
Share Button