বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জাতিসংঘসহ বিভিন্ন বিশ্ব সংস্থা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে বাংলাদেশ সরকারকে আহ্বান জানালেও সরকার রোহিঙ্গাদের সঙ্গে পাষাণের মতো আচরণ করছে। এমনকি তারা জোরালো ভাষায় প্রতিবাদটুকুও করছে না। মিয়ানমার বাহিনীর হেলিকপ্টার বার বার বাংলাদেশের সীমা অতিক্রম করলেও সরকার দায়সারা একটি প্রতিবাদ লিপি দিয়ে কর্তব্য শেষ করেছে। কারণ মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর বর্বরতা ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে অনেকাংশেই মিল পাওয়া যায়।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন। জাকিয়া আক্তার রূপাসহ সারাদেশে নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
রিজভী বলেন, বাংলাদেশ সরকার ও মিয়ানমার সামরিক জান্তার আচরণ এক ও অভিন্ন। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী নির্বিচারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে, হত্যা করছে। তাদের হাত থেকে নারী শিশু কেউ রেহাই পাচ্ছে না। অপরদিকে বাংলাদেশের সরকার সাধারণ নাগরিকদের ওপর নিপীড়ন নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে। ঈদের আগেও সাত আটজন নিরীহ লোককে গুম করা হয়েছে। নারীদের একের পর এক ধর্ষণ করা হচ্ছে। শিশুদের নির্মমভাবে হত্যা করা হচ্ছে।
মহিলা দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি জেবা খানের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন- মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, সিনিয়র সহ সাধারণ সম্পাদক রোকেয়া চৌধুরী বেবি, আমেনা খাতুন, শামসুন্নাহার প্রমুখ।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, বাসে গণধর্ষণের পর নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার সিরাজগঞ্জের জাকিয়া আক্তার রূপার মর্মান্তিক পরিণতি রাষ্ট্রীয় দুঃশাসনের প্রতিফলন।
Share Button