জাতীয় | তারিখঃ নভেম্বর ২১, ২০২১ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 188493 বার

ষ্টাফ রিপোর্টার : সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের (শহীদ) স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রোববার সকাল আটটায় সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ এবং সোয়া আটটায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী শিখা অনির্বাণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে। বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর।
এরপর সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল মোহাম্মদ শাহীন ইকবাল এবং বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান নিজ নিজ বাহিনীর পক্ষ থেকে শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।পরে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক এবং তিন বাহিনী প্রধান সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে এক সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।
ওই অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, সাবেক প্রেসিডেন্ট, সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা, সাবেক প্রধান উপদেষ্টা, মন্ত্রী ও মন্ত্রী পদমর্যাদা সম্পন্ন ব্যক্তি, প্রতিমন্ত্রী, ডেপুটি স্পিকার, বিদেশি রাষ্ট্রদূত, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মুখ্য সচিবসহ বিশিষ্টজনরা উপস্থিত থাকবেন।
এদিন ঢাকা, খুলনা, চাঁদপুর, বরিশাল ও চট্টগ্রামে বিশেষভাবে সজ্জিত নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজগুলো সর্বসাধারণের প্রদর্শনের জন্য দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যরা সম্মিলিতভাবে দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আক্রমণ শুরু করে। সেই থেকে প্রতি বছর দিনটিকে ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস’ হিসেবে পালন করে বাংলাদেশ।
Leave a Reply