টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাকে আজ টাঙ্গাইল আদালতে হাজির করা হবে।

এর আগে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে কাশিমপুর কারা কর্তৃপক্ষ এমপি রানাকে আদালতে হাজির না করায় মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি ৮ বার পিছিয়েছে।

টাঙ্গাইল জেলা কারাগারের জেল সুপার মঞ্জুর হাসান জানিয়েছেন, এমপি রানাকে কাশিমপুর কারাগার থেকে আজ সরাসরি টাঙ্গাইল আদালতে হাজির করা হবে। দীর্ঘ ২২ মাস পলাতক থাকার পর রানা গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর এ আদালতেই আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন।

আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বর্তমানে তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে আছেন।

এ মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি মনিরুল ইসলাম খান জানান, আইন অনুযায়ী আসামি কারাগারে থাকলে তার উপস্থিতিতে অভিযোগ গঠনের শুনানি করতে হয়। ফারুক হত্যা মামলার আসামি আমানুর যেহেতু

কারাগারে রয়েছেন এবং অভিযোগ গঠনের তারিখগুলোতে অসুস্থতার কথা বলে হাজির করা হয়নি। তাই শুনানি সম্ভব হয়নি। তিনি আরও জানান, রাষ্ট্রপক্ষ প্রস্তুত হয়ে আছে। তাকে বুধবার আদালতে হাজির করা হলেই শুনানি করা হবে।

২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে জেলা আওয়ামী লীগের নেতা ও বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদকারী ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ টাঙ্গাইলে কলেজপাড়া এলাকায় তার বাসার সামনে পাওয়া যায়।

ঘটনার তিন দিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। প্রথমে থানা-পুলিশ ও পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) মামলার তদন্ত শুরু করে।

২০১৪ সালের আগস্টে এ মামলার আসামি আনিসুল ইসলাম ওরফে রাজা ও মোহাম্মদ আলী গ্রেফতার হন। আদালতে তাদের স্বীকারোক্তিতে এমপি আমানুর রহমান খান রানা ও তার তিন ভাইয়ের জড়িত থাকার বিষয়টি বের হয়ে আসে।

এরপর থেকে আমানুর ও তার ভাইয়েরা আত্মগোপনে চলে যান। গত বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি আমানুর, তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাঁকন ও ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়।

Share Button