সারাদেশ | তারিখঃ সেপ্টেম্বর ৬, ২০১৭ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 247 বার

সম্পদের ভাগবাটোয়ার নিয়ে বিরোধের জেরেই খুন হন নরসিংদীর ঘোড়াদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা নার্গিস বেগম (৫৪)।
তার পরিবারের অভিযোগ, স্বামী আনসার উল্লাহর সম্পদ থেকে বঞ্চিত করার জন্যই দুই ছেলে ও এক মেয়ের মা নার্গিসকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
রোববার রাতে শিক্ষিকার ভাই আহমদ হোসেন ওরফে মানিক জয়দেবপুর থানায় মামলা করেন। তার অভিযোগ, আগের স্ত্রী টিংকু বেগম (৫৭) তার মেয়ে ও মেয়ের জামাতা আলোর সঙ্গে আনসার উল্লাহর ফ্ল্যাট, বাড়ি, জায়গা-সম্পত্তি এবং তার অবসরকালীন ভাতা নিয়ে নিহত স্ত্রী নার্গিস বেগমের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে ঢাকার নাখালপাড়ার বাসায় বহুবার বিচার সালিশও হয়। এমনকি এর আগে নার্গিস বেগমকে হত্যার হুমকিও দেয়া হয়েছিল
মামলার বাদী থানায় অভিযোগে উল্লেখ করে বলেছেন, এনএসআইর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনসার উল্লাহ আগে যে বিয়ে করেছিলেন তা তারা জানতেন না। আগের ঘরে আনসার নার্গিস বেগমকে হত্যার হুমকিও দেয়া হয়েছিল।
মামলার বাদী থানায় অভিযোগে উল্লেখ করে বলেছেন, এনএসআইর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনসার উল্লাহ আগে যে বিয়ে করেছিলেন তা তারা জানতেন না। আগের ঘরে আনসার উল্লাহর আসমা নুসরাত বাবলী (৩২) ও মান্নী (৭) নামে দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। নার্গিস বেগম ও তার সন্তানদের সম্পদ থেকে বঞ্চিত করার জন্যই পরস্পর যোগসাজশে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে আসছিল। বহুবার প্রকাশ্যে প্রাণনাশের হুমকিও দেয়া হয় তাকে।
জানতে চাইলে নিহতের ভাই মানিক জানান, তার বোনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে গুম করতেই লাশ ড্রামে ভরে গাজীপুরে ফেলে দিয়ে আসে। তিনি এ ঘটনায় নার্গিসের স্বামী আনসার উল্লাহ প্রথম স্ত্রী টিংকু বেগম, তার মেয়ে বাবলী ও মেয়ের স্বামীকে দায়ী করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জয়দেবপুর থানার এসআই মন্তোষ চন্দ্র দাস জানান, কোনো আসামিকে গ্রেফতার করা যায়নি। গোটা বিষয়টি তদন্ত পর্যায়ে রয়েছে। এখনই এ নিয়ে বলার মতো কিছু পাইনি।
ঈদের দিন গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস মোড়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে ড্রাম থেকে দুর্গন্ধ বের হতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে ড্রামের ভেতর থেকে এক নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে। পুলিশের ধারণা ২-৩ দিন আগে দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যার পর ড্রামে ভরে বাইপাস সড়কের পাশে ফেলে রেখে গেছে।
Leave a Reply