২৮ বছরের এক তরুণ কাশির ওষুধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ার পর স্বপ্নের মাঝে কুপিয়ে নিজের স্ত্রীকে খুন করেছেন। ঘুম ভাঙ্গার পরে পাশে স্ত্রীর রক্তাক্ত দেহ দেখার পর চেতনা ফিরে।

এতে হতবিহ্বল হয়ে পড়েন ওই যুবক। ঘাবড়ে গিয়ে মাঝরাতে ফোন করে পুলিশকে ঘটনার কথা জানান। পুলিশ তার কথা শুনে প্রথমে হতভম্ব হয়ে যায়। পরে ছয় মিনিট ধরে কথা বলে পরিস্থিতি বোঝাতে সক্ষম হন যুবকটি।

গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর ক্যারোলিনার র‌্যালেই শহরে এ ঘটনার জন্ম দেন ম্যাথিউ ফেল্পস। তার স্ত্রীর নাম লরেন অ্যাশলি নিকোল ফেল্পস।

গত নভেম্বরে দুই বছরের বড় লরেনকে বিয়ে করেছিলেন ম্যাথিউ। বিবাহ বার্ষিকী পালনের আগেই অভাবনীয়ভাবে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন হলেন। এ ঘটনা জানার পর দম্পতির পরিচিতরা স্তম্ভিত হয়ে পড়েছেন।

জানা গেছে, মাঝরাতে তিনি পুলিশের জরুরি নম্বর ৯১১-এ ফোন করেন। পুলিশ তার কী সাহায্য প্রয়োজন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি মনে হয় স্ত্রীকে খুন করে ফেলেছি!

এ কথা শুনে থতমত পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, আপনি কেন এমনটি মনে করছেন, আপনার আসলে কী হয়েছে বলুন তো?

তখন ম্যাথিউ বলেন, আমি স্বপ্ন দেখছিলাম। ঘুম ভাঙতে লাইট জ্বালানোর পর দেখলাম স্ত্রী মরে মেঝেতে পড়ে রয়েছে। আমার সারা গায়ে রক্ত। বিছানার উপর একটি ছুরিও পড়ে রয়েছে। আমার মনে হচ্ছে আমিই ওকে মেরে ফেলেছি।

এ সময় পুলিশ তাকে ঠিকঠাক করে কথা বলতে বলেন। তখনও তিনি স্ত্রীকে হত্যার দাবি করেন। তিনি বলেন, না, ও নড়ছে না! ও আমার খোদা! কোনোভাবেই তার এমন পরিণতি প্রাপ্য নয়।

পরে পুলিশ ম্যাথিউর বাসায় গিয়ে লরেনের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

প্রাথমিক জেরায় ম্যাথিউ পুলিশকে বলেছেন, ঘুমের সমস্যা হওয়ার কারণে ঘটনার রাতে ‘ক্রোসিডিন’ নামে একটি উচ্চমাত্রার কাশির সিরাপ সেবন করেন তিনি।

এ সিরাপের নির্মাতাদের দাবি, এটি সেবন করলে কেউ ম্যাথিউর মতো এমন সহিংস নিষ্ঠুর আচরণ করবে তার কোনো প্রমাণ নেই।

পুলিশও বিশ্বাস করেনি যে অবচেতন অবস্থায় ম্যাথিউ তার স্ত্রী অ্যাশলিকে খুন করেছে। বরং একে পরিকল্পিত ঘটনা সন্দেহে তাকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার তাকে আদালতে তোলার কথা রয়েছে।

সূত্র: নিউইয়র্ক পোস্ট

Share Button