ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি॥
ঢাকার ধামরাইয়ে আদরের টানে দের বছরের সন্তান ও স্বামীকে রেখে প্রথম স্বামীর সাথে ঘর বাধাঁর আশায় গত কয়েক দিন আগে ইয়াসমিন নামের এক গৃহবধু চলে যায়। ধামরাই উপজেলার সুতিপাড়া ইউনিয়নে শ্রীরামপুর গ্রামে এই ঘটনায় চাঞ্চ্যলকর সৃষ্টি হয়েছে। ইয়াসমিন বেগম নামের ওই নারি ধামরাই উপজেলার সুতিপাড়া ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের মোঃ ফজল হকের ছেলে মোঃ জাহাঙ্গীরের স্ত্রী। স্থানীয় সুএে জানাযায় ইয়াসমিন বেগম তার প্রথম স্বামী মোঃ জাহাঙ্গীরের সাথে গত ২০১০ সালে পারিবারিক ভাবে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ে হওয়ার পর তাদের দাম্পত্য জীবন বেশ সুখে কাটতে থাকে। এক সময় ইয়াসমিন তার পরিবারের কথা চিন্তা করে সে তারাসীমা নামক গার্মেন্সে চাকরী নেয়।
এই সময় তারাসীমার গার্মেন্সের মোঃ সুমন নামের চট্রগ্রাম জেলার সনদ্বীপ থানার সদর এলাকার এক ছেলের সাথে প্রেমে জড়িয়ে পরে তারই সুবাধে ইয়ামিন সুমনের হাত ধরে পালিয়ে যায়।পরে সাটুরিয়া থানার আতকুড়া গ্রামে গিয়ে এক বাড়ীতে ভাড়া থাকে সেই সময় ওই গ্রামের লোকজন এই ঘটনা জানতে পারে। এবং তারা ছেলে মেয়ে দুই জনকে আটকে রেখে টাকা পয়সা জড়িমানা করে এবং তাদেরকে কুট মেরেজ করিয়ে মৌলনা দিয়ে বিয়ে পড়িয়ে দেয়। পরে তারা আশুলিয়া থানার পল্লীবিদ্যুৎ লালপাহার নামক স্থানে ফ্লাট বাসা ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ঘরসংসার করে।
তবে কিছু দিন যাওয়ার পর ইয়াসমিন তার আগের স্বামীর সাথে পুণরায় যোগাযোগ করলে, স্বামী মোঃ জাহাঙ্গীর তাকে পুনরায় বিয়ে করার জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করলে ইয়াসমিন তাতে রাজি হয়।এবং হাজি মোঃ আসাদুজামান হেলাল এর নেতিত্বে দ্বিতীয় স্বামীকে তালাক দিয়ে আবার প্রথম স্বামীকে বিয়ে করি।
এই ব্যাপারে প্রথম স্বামী মোঃ জাহাঙ্গীর বলেন গত পাঁচ বছর যাবত আমার স্ত্রীর সাথে আমি সংসার করি।আমার ঘরে একটি সন্তান আছে এবং ঐ গর্ভের সন্তান ও আমার।আমি আমার স্ত্রীকে তালাক দেয়নি।
দ্বিতীয় সামী মোঃ সুমন জানান ঐ গৃহবধুর সাথে আমি র্দীঘদিন যাবত প্রেম করে বিয়ে করি।ঐ গৃহবধু আমার স্ত্রী ওর গর্ভে আমার দের বছরের একটি সন্তান রয়েছে।
এই ব্যাপারে ইয়াসমিনের মা রোকিয়া বেগম এলাকার লোকজনের কাছে বলেন যে ইয়াসমিনের গর্ভের সন্তান তার দ্বিতীয় স্বামী সুমনের।
এই ব্যাপারে গৃহবধু ইয়াসমিন জানান আমি গত দুই বছর আগে আমার প্রথম স্বামীকে তালাক দিয়ে সুমনকে বিয়ে করি। পরে আমার দ্বিতীয় স্বামী সুমনকে তালাক দিয়ে অনুমানিক ১২-১৩দিন আগে জাহাঙ্গীরকে পুনরায় বিয়ে করি।তিনি আর বলেন তালাকের পরে প্রথম স্বামী জাহাঙ্গীরের ঘর সংসার করলেও দ্বিতীয় স্বামী সুমনের সাথে আমার প্রতিনিয়ত যোগাযোগ ছিল।
এই ব্যাপারে এলাকার লোকজন মোঃ জাহাঙ্গীরের সপরিবারকে সমাজ থেকে বাহির করে দিয়েছে বলে জানা যায়।এদিকে আলহাজ্ব আসাদুজ্জামান হেলাল জাহাঙ্গীর ও তার স্ত্রীকে জুরপৃর্বক বাড়িতে উঠিয়ে দেওয়ার পায়তারী করছে।এই নিয়ে এলাকার লোকজনের মধ্যে উক্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা যায়।