সারাদেশ | তারিখঃ সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৭ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 224 বার

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি॥
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাটের ভারত সীমান্ত দিয়ে আসা সরকারের অনুমোদন ছাড়াই গরুর বীট খাটালে ব্যাপক চাঁদাবাজি ও সীমান্তে দূর্ঘটনার আশংকা থাকলেও স্থানীয প্রশাসন রহস্যজনক কারণে নিরব। অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার গোহালবাড়ী গ্রামের ওাল মাহালতের ছেলে আশরাফুল ইসলাম তার নামে গরুর বীট খাটালের অনুমোদন নেয়ার জন্য আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষীতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা টাস্কফৌর্সের সভায় তার বীট খাটালের অনুমোদন নথিজাত ও নিস্পত্তি করা হয়। নিস্পত্তির পর উচ্চ আদালতে আশরাফুল ইসলাম নীট করেন। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফিরোজ হাসান ৬ আগষ্ট ৮১১ নং স্মারকে আশরাফুল ইসলামকে রীট নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোন বীট খাটাল করতে পারবে না বলে অবহিত পত্র প্রদান করেন। কিন্তু তারপরও কোন কিছু তোয়াক্কা না করে ২৭ আগষ্ট থেকে অধ্যবোধি চরধরমপুর গ্রামে বীট চালু আছে। প্রকৃত পক্ষে উচ্চ আদালতে রীটের পূর্বেই চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা টার্স্টফৌর্স আশরাফুল ইসলামের নামের গরুর বীট খাটাল ২২ ফেব্রুয়ারী সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক নথিজাত করে নিস্পত্তি করেন। কিন্তু অদৃশ্য শক্তির ইশারায় ২৭ আগষ্ট থেকে এখন পর্যন্ত চরধরমপুর গ্রামে গরুর বীট খাটাল চালু রেখে সরকারের নিয়মকে তোয়াক্কা না করে অবৈধ ভাবে রু প্রতি ৪হাজার ৫শত টাকা করে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১০ হাজার গরু থেকে মোট ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা আদায় করা হয়েছে। এর মধ্যে সরকার রাজস্ব পেয়েছে মাত্র ৫০ লাখ টাকা। অবৈধ গরুর বীট খাটালে অবৈধ ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে ব্যাপক চাঁদাবাজি তারপরও স্থানীয়সহ উচ্চ পর্যায়ের প্রশাসন রহস্যজনক ভাবে রয়েছেন নিরব। এ নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এদিকে গরু আনাকে কেন্দ্র করে ভারত সীমান্ত হত্যাসহ আইন শৃংখলার অবনতি হওয়ার আশংকা রয়েছে এবং যে কোন সময় দূর্ঘটনা ঘটার শংকায় রয়েছেন স্থানীয়রা। উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার রাতে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের মধ্যে গরু নেয়ার জন্য প্রবেশ করলে ভারতীয সীমান্ত রক্ষিবাহিনী বিএসএফ উপজেলার ৯ জনকে আটক করে। পরে শুক্রবার বিজিবি’র ৫৯ ব্যাটালিয়নকে ফেরত দিলে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে বিজিবি বাদি হয়ে থানায় মামলা দেয়। এ ঘটনায় ৯ জনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। পরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভোলাহাট থানার অফিসার ইনর্চাজ ফাসির উদ্দিন। এদিকে গত বুধবার সীমান্তে গরু আনতে গিয়ে সুরানপুর গ্রামের আবু সুফিয়ানের ছেলে শহীদ (৩৫) লাশ হয়ে নদী ভেসে থাকা অবস্থায় শুক্রবার উদ্ধার করে লাশ দাফন সম্পন্ন করে তার পরিবার বলে তার স্ত্রী জানান।
Leave a Reply